তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর একটাই উপায়, নিজেকে আরও শুদ্ধ করা: কোনাল

কোনাল, সুবীর নন্দী স্মরণেকোলাজ

বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী বাংলাদেশের সংগীতের দুনিয়ার এক অনন্য নাম। দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে তাঁর কণ্ঠে হয়েছে আড়াই শতাধিক গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। সেসব গান এখনো গুনগুনিয়ে গান শিল্পী আর শ্রোতারা। আর এর মাঝেই বেঁচে আছেন এই শিল্পী। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’। ১৯৭৬ সালে আবদুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় প্লেব্যাক শুরু করেন। সিনেমায় গান গেয়ে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। আর সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেছে তাঁকে। আজ সুবীর নন্দীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁকে স্মরণ করেছেন দেশের কণ্ঠশিল্পী কোনাল। শোনা যাক কোনালের মুখেই।

সুবীর নন্দী। ছবি: সংগৃহীত

‘২০০৯ সালে “সেরাকণ্ঠ সিজন টু”–এর বিজয়ী হলাম। সেবার তিনি কেবল বিচারকই ছিলেন না, আমাদের গ্রুমারও ছিলেন। তিনি ছিলেন আমাদের একজন অভিভাবক, আমার বাবার মতো। তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের জন্য তিনি অনুপ্রেরণা। তিনি যেভাবে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের আপন করে নিয়েছেন, এটা তাঁর মতো করে আর কেউ পারেননি। ২০১৭ সালে ডায়ালাইসিসের জন্য তিনি ভারতের কলকাতায় ছিলেন। সে সময় আমিও কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেখানে তাঁর বাসায় তাঁকে দেখতে গেলে ভীষণ আন্তরিকভাবে অনেক কথা বললেন। কত কিছু যে বললেন! আমাকে সাহস আর উৎসাহ দিলেন।

কোনাল
প্রথম আলো

শিল্পী হিসেবে আমি সব কাজ করতে যাই না। সব গান গাই না। আমি মার্জিতভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে চাই। তাই বেছে বেছে কাজ করি। এই যে ভালো কাজের বাছাই, ব্যাপারটা সুবীরদার কাছ থেকেই শেখা। তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর একটাই উপায়, নিজেকে আরও শুদ্ধ করা। নিজের সংগীতকে প্রতিনিয়ত আরও পরিশুদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া। উনি সব সময় সেটা করতেন। আমিও সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।