দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাক, তিন নম্বর রিং পরাতে হলো সংগীতশিল্পী হায়দারকে

হায়দার হোসেন

হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন। বর্তমানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। আজ বুধবার দুপুরে তাঁর হার্টে রিং (স্টেন্ট) পরানো হয়েছে। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন হায়দার হোসেনের স্ত্রী নুসরাত জাহান শিম্মি।
নুসরাত জাহান জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়। ব্যথা বাড়লে দুপুরের পর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদিন রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক করেন বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকেরা।
নুসরাত জাহান জানান, ২০১৬ সালে আমেরিকায় আরেকবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর (হায়দার হোসেন)। তখন দুটি রিং পরানো হয়। এরপর সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই দিনযাপন করতে হয়েছে। অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যায়ও ভুগছিলেন। ফলে তাঁর এবারের চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকেরা চিন্তার মধ্যে ছিলেন।

হায়দার হোসেন। ছবি: প্রথম আলো

নুসরাত জাহান বলেন, ‘আজ বুধবার দুপুরে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে হায়দার হোসেনের চিকিৎসার বিষয়ে জরুরি বৈঠক করা হয়। সেখানেই তাঁকে আরেকটি রিং পরানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। সবার কাছে তাঁর জন্য দোয়া চাইছি।’
উইনিং ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হায়দার হোসেনের লেখা ‘মন কী যে চায় বলো’ গানটি আজও শ্রোতাদের রোমাঞ্চিত করে। তিনি যেমন এই ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, তেমনি দলের নামটাও তাঁর দেওয়া।

নিজের লেখা ও সুর করা গান নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন শিল্পী হায়দার হোসেন
ফাইল ছবি

হায়দার হোসেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে একজন প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৯ সাল থেকে তিনি সংগীত পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিখ্যাত সুরকার আলম খানের সঙ্গে গিটার বাজাতেন এবং এরপর পপসম্রাট আজম খানের সঙ্গে কাজ করতেন। একসময় হায়দার হোসেন নিজেই বেশ খ্যাতি পান। তাঁর গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘৩০ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি’, ‘আমি ফাইসা গেছি’ ইত্যাদি।