নতুন গান নিয়ে এল নতুন এলআরবি

পুষ্পর সেলফিতে আনান, স্বপন, রিয়াদ ও রনি
ছবি: সংগৃহীত

ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণের তৃতীয় বর্ষে তাঁর স্মরণে নতুন গান প্রকাশ করেছে নতুন এলআরবি। এই এলআরবি আইয়ুব বাচ্চুর রেখে যাওয়া এলআরবি নয়। পুরোনো নামে ফিরে আসা এক নতুন ব্যান্ড। এলআরবি বা লিটল রিভার ব্যান্ডের লাইনআপে রয়েছেন বেজ গিটারে সাইদুল হাসান স্বপন, ড্রামসে রিয়াদ সরয়ার, গিটারে পুষ্প ফেরদৌস, কাজী আনান ও ভোকালে রনি।

১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল আইয়ুব বাচ্চুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় এলআরবি বা লিটল রিভার ব্যান্ড। পরে তাঁরা জানতে পারেন, এই নামে অস্ট্রেলিয়ায় আরেকটি ব্যান্ড রয়েছে। এ অবস্থায় ‘এলআরবি’ আদ্যক্ষর ঠিক রেখে ব্যান্ডের নাম করা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’। এতকাল পর লিটল রিভার ব্যান্ড ফিরে এল কেন? আইয়ুব বাচ্চুর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে এলআরবির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাইদুল হাসান স্বপন জানান, ‘আমার গুরু, আমার বড় ভাই আইয়ুব বাচ্চু আর আমি যে ব্যান্ড শুরু করেছিলাম, আমি সেখানেই ফিরে গেলাম। গত তিন বছর গুরুর লিগ্যাসি ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। পুরোনো এলআরবি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। তাঁর পরিবারের কারণে পারিনি।’

‘লিটল রিভার ব্যান্ড’ আজ আইয়ুব বাচ্চুকে উৎসর্গ করে প্রকাশ করেছে নতুন গান ‘ইন মেমোরি অব আইয়ুব বাচ্চু’। ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’–এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। স্বপন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার যাত্রা শুরু হয় “লিটল রিভার ব্যান্ড” থেকে। যেহেতু নামটি বস (আইয়ুব বাচ্চু) বাতিল করেছিলেন আর এলআরবি (লাভ রানস ব্লাইন্ড) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাই পুরোনো নামটিকেই (লিটল রিভার ব্যান্ড) বেছে নিলাম। এখানে আইয়ুব বাচ্চুর এলআরবি ব্যান্ডের কোনো যোগসূত্র নেই। আমি আমার সংগীতজীবন যেভাবে শুরু করেছি, সেখানেই আবার ফিরে গেছি।’

২০১৮ সালে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর এলআরবি নিয়ে সংকট দেখা দেয়। ভোকাল হিসেবে তখন বালাম, মিজানসহ অনেকে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। এরপর ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য সাইদুল হাসান স্বপন ও গোলামুর রহমান রোমেল আলাদাভাবে শো করায় ব্যান্ডটি নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে সংগীতাঙ্গনে। এরপর আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের আপত্তিতে ব্যান্ডটির কার্যক্রম বাতিল করা হয়।

এলআরবির নতুন গান ‘ইন মেমোরি অব আইয়ুব বাচ্চু’র কথা লিখেছেন হ্যাভেন ও রনি, কণ্ঠ দিয়েছেন রনি। এ গানে বেজ গিটার বাজিয়েছেন সাইদুল হাসান স্বপন, ড্রামসে ছিলেন রিয়াদ সরয়ার, গিটারে পুষ্প ফেরদৌস ও কাজী আনান।