নববর্ষে ‘বৃষ্টিতে ভিজে’ মারামারি নওশাবার

বাংলা নববর্ষের আগের দিনই মুক্তি পেল ইউটিউবে এই উৎসবের গান ‘শুভ বৈশাখ’। গানটি গেয়েছেন শিলা দেবী। গানের ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী নওশাবাকে। এই গান আর এবারের পয়লা বৈশাখ উদযাপন সম্পর্কে জানতে তাঁকে ফোন করা হলো। নওশাবা জানালেন, বাংলা নববর্ষের দিনে তিনি সিনেমার শুটিং করছেন। তবে এই মুহূর্তে সিনেমার নাম বা সহকর্মীদের সম্পর্কে কিছু জানাতে সাফ মানা করে দিয়েছেন পরিচালক। গাজীপুরের ভবানীপুরে বৃষ্টিতে ভিজে `মারামারি' করে কাটছে এই অভিনেত্রীর নববর্ষ।

কাজী নওশাবা আহমেদ
সংগৃহীত

নওশাবা বললেন, ‘আমরা এখন ভবানীপুরে, গাজীপুর থেকে বেশ খানিকটা সামনে। ৯ তারিখ থেকে এখানে একটা সিনেমার শুটিং চলছে। নববর্ষের কথা আর বলবেন না। কাল রাত দুইটা পর্যন্ত শুটিং চলেছে। আবার ভোর ছয়টা থেকে শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে বৃষ্টিতে (কৃত্রিম) ভিজে মারামারি চলছে। এটা রোমান্টিক অ্যাকশন ধরনের সিনেমা। বৃষ্টিতে অ্যাকশন দৃশ্য ধারণের কাজ চলছে।’ করোনাকালে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরতে চায় এই সিনেমার ইউনিট। ১৭ তারিখে ফেরার কথা তাদের। তাই দিন–রাত এক করে চলছে শুটিং।

গানচিত্রে নওশাবা
সংগৃহীত

‘শুভ বৈশাখ’ গানটি ইউটিউবে মুক্তির পর এক দিনে দেখা হয়েছে ২৫ হাজারের বেশিবার। এই গান সম্পর্কে এই অভিনেত্রী বললেন, ‘আমি শুরুতেই নির্মাতাদের সঙ্গে বসে বললাম, যদি কেবল উৎসবমুখর পরিবেশে নাচের ভিডিও চিত্র বানানো হয়, তাহলে দর্শকদের কাছে বিষয়টা অবাস্তব লাগবে। কারণ, এখন সময়টা তো বাইরে বেরিয়ে নাচগান করার নয়। এটাকে এমনভাবে বানান, যাতে একটা বাচ্চাও সহজেই বুঝতে পারে সময়টাকে। আবার গানটা দেখে, শুনে যেন উৎসবের আমেজের সঙ্গে একাত্ম হতে পারে দর্শক। আমার খুব ভালো লেগেছে যে নির্মাতারা আমার পরামর্শটা নিয়েছেন। আমার মেয়ে আমাকে নাচতে দেখলে খুব খুশি হয়। ওর গানটি খুবই ভালো লেগেছে।’

গানচিত্রে নওশাবা
সংগৃহীত

মিউজিক ভিডিও নিয়ে সংগীতশিল্পী শিলা দেবী বলেন, ‘নানা রং ও রূপে বৈশাখ বাঙালির জীবনে অপরিহার্য একটি অংশ। অথচ মহামারি আমাদের প্রাণের সেই উৎসব আয়োজন থেকে বঞ্চিত করেছে। তাই মানুষ ঘরে বসেও যাতে উৎসবের আমেজ মনে ধারণ করে রাখতে পারে, সে জন্যই গানটি করেছি। গানের কথা, সুর, কম্পোজিশন ও মিউজিক ভিডিও—সব মিলিয়ে দারুণ একটা কাজ হয়েছে। আশা করি সবাই গানটি স্বচ্ছন্দে গ্রহণ করবে।’

নওশাবা
ফেসবুক

বৈশ্বিক মহামারিতেও যাতে মানুষের মনে উৎসবের রং মলিন না হয়, সে জন্য গানটি বানানো। গান‌টি লিখেছেন গী‌তিক‌বি জয়ন্ত কর্মকার। সুর করেছেন আল‌ভি আল বেরু‌নি ও জয়ন্ত কর্মকার।