নোয়ার বেহালা

ভেনিসের গ্র্যান্ড ক্যানেলে ভাসমান বেহালা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে পাওয়া

ভেনিসের গ্র্যান্ড ক্যানেলে ভাসতে দেখা গেল বিরাট এক বেহালা। ভাসমান সেই বেহালার ওপর দাঁড়িয়ে বেহালায় শিল্পী ভিভালদির সুর তুলছেন একদল শিল্পী। খালে ভাসা এই বেহালার নাম দেওয়া হয়েছে নোয়াজ ভায়োলিন। দলবল নিয়ে এটি বানিয়েছেন ভেনিসের ভাস্কর লিভিও ডি মারকি।

ভাসমান বেহালাটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকেই তাঁদের নৌকার গতি কমিয়ে দেন। দুদণ্ড বেহালার সুর উপভোগ করেন। আকার ও চেহারায় বেহালার মতো হলেও আসলে এটি একটি নৌকা। এই জলবেহালা বানাতে মারকি ও তাঁর দলের লেগেছে প্রায় এক বছর। শিল্পকলা, সংগীত ও সংস্কৃতির শহর ভেনিসে যাঁরা কোভিডে মারা গেছেন, তাঁদের স্মরণে এ জলবেহালাটি বানানো হয়েছে। একদল শিল্পী কালো স্যুট ও গাউন পরে খালি পায়ে সেটার ওপর দাঁড়িয়ে বেহালা বাজান।

গত আগস্টে ডি মারকি ভেনেজুয়েলা টুডেকে এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই জলযানটি নোয়ার নৌকার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই বানানো। তিনি বলেন, ‘নোয়া যেমন প্রাণীদের তাঁর নৌকায় তুলে নিয়েছিলেন, আমরাও তেমন এই বেহালায় করে শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে চাই।’

আগেও এ রকম উদ্ভট সব জলযান তৈরি করেছেন লিভিও ডি মারকি। ১৯৮৫ সালে ভেনিসের খালে কাগজের নৌকার মতো দেখতে একটি নৌকা ভাসিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকেই তিনি এ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ভেনিসের খালগুলোতে প্রায়ই এ রকম আজব সব জলযান ভাসিয়েছেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে আছে অতিকায় জাহাজ বা পুরোনো দিনের মডেলের গাড়ির মতো নৌকা। তাঁর সর্বশেষ সৃষ্টি ছিল ফেরারি এফ৫০, যেটি মোটরের সাহায্যে জলে চলত। একটি সত্যিকারের স্পোর্টস কারের যে বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে, তার সবই ওই জলগাড়ির ছিল।