মঞ্চটা যেন পরিণত হয় লালন আখড়ায়

রাজশাহীতে লালন সাঁইয়ের ১৩০তম তিরোধান দিবস পালিত।
প্রথম আলো

ঘোষণার সঙ্গেই বেজে ওঠে যন্ত্রসংগীত—‘জাত গেল জাত গেল বলে...’। মঞ্চ উন্মুক্ত হলে দেখা যায় লালন সাঁইজি (প্রতীকী) বসে আছেন তাঁর আখড়ায়, ছাউনিতে। সামনে বসে আছেন তাঁর শিষ্যরা। ধবধবে সাদা পোশাকে একদল বাউল। যন্ত্রসংগীত থেমে গেলে সবাই সমস্বরে বলে ওঠেন—আলেক সাঁই।

অনুষ্ঠান শুরুর এই অভিনবত্বে মিলনায়তনের দর্শক মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যান। রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি শনিবার সন্ধ্যায় বিশেষ এ আয়োজন করে। ‘ভুলো না রে ভব ভ্রান্ত কাজে’—মরমি সাধক লালন সাঁইয়ের ১৩০তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে করা হয়েছে আয়োজনটি। করোনার কারণে দীর্ঘ বিরতির পর এই প্রথম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দর্শকসহ অনুষ্ঠান করছে। তবে উপস্থিত দর্শকের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৫০ জন। তাঁদের ক্ষেত্রেও মানা হয়েছে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি। মিলনায়তনে প্রবেশের আগেই শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ছিল।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থী ও শিল্পীরা সেজেছেন লালনশিষ্য।
প্রথম আলো

মঞ্চে প্রতীকী লালন হিসেবে বসে থাকা সাধক কোরবান বাউল একে একে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন সাধক লালন শাহর দর্শনগুলো। মাঝেমধ্যে তাঁর সেই দর্শনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান ধরেন শিষ্যরা। আবার গানের মাঝে মাঝে কোনো কোনো শিষ্য দাঁড়িয়ে নাচতে শুরু করেন। সব মিলিয়ে পুরো মঞ্চটা যেন পরিণত হয় লালন আখড়ায়।

তথাপি আজাদের সঞ্চালনায় আটটি গান পরিবেশিত হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থী ও শিল্পীরাই সেজেছেন লালনশিষ্য। সাথী, বিথী, জেসমিন, শিশির, হাসিব ও ফারহানা গেয়েছেন গান আর সুপ্ত, চৈতি, মাহি, শ্রাবস্তী করেছেন নাচ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থী ও শিল্পীরাই সেজেছেন লালনশিষ্য
প্রথম আলো