মহামারিকালে মুহিনের এক শ গান

মুহিনের সুর ও সংগীত পরিচালনায় এক শ গানের এই উদ্যোগের শুরু ২০১৬ সালে। তখন তাঁর পরিচয় হয়েছিল গীতিকবি জামাল হোসেনের সঙ্গে। সংগীতশিল্পী থেকে তরুণ সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করা শুরু করছিলেন। জামাল হোসেনের বেশ কিছু গানের সুর ও সংগীত আয়োজন করেন মুহিন। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে গীতিকার জামাল হোসেন মুহিনের হাতে বেশ কিছু গান ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এবার আমরা বড় কিছু একটা করি।’ তারপর শুরু হলো মহামারিকাল।

মুহিন
ফেসবুক

লকডাউনের সময়টা কাজে লাগিয়ে নিজের ঘরের স্টুডিওতে কাজ শুরু করলেন মুহিন। এই আয়োজনে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের বেশ কিছু সংগীতশিল্পী।

মুহিনের সুর ও সংগীতায়োজনে ওপার বাংলা থেকে গেয়েছেন কুমার শানু, শুভমিতা, রাঘব চ্যাটার্জী ও রূপঙ্কর বাগচী। আর বাংলাদেশ থেকে প্রয়াত সুবীর নন্দী ছাড়াও গেয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী, আসিফ আকবরসহ আরও অনেকে। তরুণ শিল্পীদের ভেতর গেয়েছেন রুমানা ইসলাম, সালমা, রন্টি, নিশীতা, সাব্বির, কিশোর, পুলক, পুতুল, পলাশ, বাঁধন, লিজা, অপু, আতিক, নদী, বৃষ্টি, ঝিলিক, স্মরণ, লুইপা, হৈমন্তীসহ আরও অনেকে।

মুহিন বলেন, ‘২০২০ সালে আমরা এই প্রজেক্টের অধীনে এক শ গানের কাজ শেষ করি। মিউজিক ভিডিও বানিয়ে গত বছরই ২৫টি গান মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রঙ্গন মিউজিক অফিশিয়াল ও রঙ্গন স্টুডিওর ইউটিউব চ্যানেল থেকে। এ বছরের ভেতর আমরা বাকি ৭৫টা গান মুক্তি দেব। প্রতি সপ্তাহে দুটি করে গান মুক্তি দিচ্ছি। সবাই খুব অ্যাপ্রিশিয়েট করছে। আর যে শিল্পীরা গানগুলো গেয়েছেন, তাঁরা টেলিভিশনে লাইভে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে অথবা অন্য অনুষ্ঠানে এই গানগুলো গাচ্ছেন। সব অনুষ্ঠানে আমার সুর আর মিউজিক কম্পোজে একটা বা দুটো গান থাকেই।’

এ ছাড়া ‘পদ্মপুরাণ’, ‘হিরো পুলিশ’ ও ‘প্রীতিলতা’ ছবির তিনটি গানের কাজ চলছে। গানগুলোতে সুর, সংগীতায়োজন ছাড়াও কণ্ঠ দিয়েছেন মুহিন।

মুহিন
ফেসবুক

২০০৬ সালে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন মুহিন। এরপর দীর্ঘদিন তাঁর গানের ভুবনে পথচলা। কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই বেশি পরিচিত মুহিন খান। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কাভার গান করলেও পরবর্তীকালে মৌলিক গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি সুরকার হিসেবেও নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন।