রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের মনের শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগে কুমার বিশ্বজিৎ

রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের নিয়ে এই আয়োজনের নাম ‘সিঙ্গাপুরে গানের পাখি ২০২০’। করোনা মহামারির মধ্যে এই প্রতিযোগিতায় ১২১ জন প্রতিযোগী গান গেয়ে ভিডিও করে পাঠান। সেখান থেকে বাছাই করা হয়েছে ১০ জনের গান। সেই ১০ জন থেকে এবার ৫ জনকে বাছাই করতে হবে, এই দায়িত্ব পড়েছে দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ওপর।

কুমার বিশ্বজিৎসংগৃহীত

দেশে ফিরতে না পারলেও বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশিরা আয় (রেমিট্যান্স) পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন। সারা দেশের ব্যাংক শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, মুঠোফোনে আর্থিক সেবা (এমএফএস) ও এনজিওদের মাধ্যমে তা পৌঁছে যাচ্ছে সুবিধাভোগীদের কাছে। সিঙ্গাপুরে থাকা এই রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের মনের শক্তি বাড়াতে অন্য রকম এক উদ্যোগ নিয়েছে ‘সিঙ্গাপুরে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশী’। সহযোগিতায় সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ দূতাবাস। রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের মধ্যে তারা একটি গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই উদ্যোগের সেরা পাঁচজন বাছাইয়ের দায়িত্ব পড়েছে দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ওপর।

কুমার বিশ্বজিৎ
সংগৃহীত

জানা গেছে, রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের নিয়ে এই আয়োজনের নাম ‘সিঙ্গাপুরে গানের পাখি ২০২০’। করোনা মহামারির মধ্যে এই প্রতিযোগিতায় ১২১ জন প্রতিযোগী গান গেয়ে ভিডিও করে পাঠান। সেখান থেকে বাছাই করা হয়েছে ১০ জনের গান। সেই ১০ জন থেকে এবার ৫ জনকে বাছাই করতে হবে, এই দায়িত্ব পড়েছে দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ওপর।

কুমার বিশ্বজিৎও এমন একটি আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত। তিনি প্রথম আলোকে জানান, সপ্তাহখানেক ধরে কথা হচ্ছিল এই আয়োজনে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে, রোববার সম্মতি দিয়েছেন। দেশের অনেক রিয়েলিটি অনুষ্ঠানে বিচারক হয়েছেন সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। তাঁর হাত ধরে উঠে এসেছেন অনেক তরুণ সংগীতশিল্পীও।

কুমার বিশ্বজিৎ জানান, সিঙ্গাপুরের রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের গান গাওয়ার বেশ কিছু ভিডিও তিনি দেখেছেন, গানগুলো শুনেছেন। মুগ্ধও হয়েছেন বলে জানান। ৩০ আগস্ট এই আয়োজনে ফাইনালে সেরা পাঁচ শিল্পীর নাম ঘোষণা করবেন কুমার বিশ্বজিৎ।

কুমার বিশ্বজিৎ জানান, সিঙ্গাপুরের রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের গান গাওয়ার বেশ কিছু ভিডিও তিনি দেখেছেন, গানগুলো শুনেছেন। মুগ্ধও হয়েছেন বলে জানান। ৩০ আগস্ট এই আয়োজনে ফাইনালে সেরা পাঁচ শিল্পীর নাম ঘোষণা করবেন কুমার বিশ্বজিৎ।

এই আয়োজনে যুক্ত হওয়ার পেছনে কোন ভাবনা কাজ করেছে, জানতে চাইলে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা তিন বন্ধু ছিলাম। আমি, আইয়ুব বাচ্চু ও মনজুর। সেই মনজুর থাকে সিঙ্গাপুরে। তার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তারা সেখানকার রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের নিয়ে এই আয়োজনের কথা বলে। এই মহামারিতে তাঁদের অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। দেশেও আসতে পারছেন না—সব মিলিয়ে তাঁরা একটা মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে আছেন। তাঁদের মানসিক শক্তি বাড়াতে এই উদ্যোগ, তাই রাজি না হয়ে পারিনি।’

ছোটবেলায় আমরা তিন বন্ধু ছিলাম। আমি, আইয়ুব বাচ্চু ও মনজুর। সেই মনজুর থাকে সিঙ্গাপুরে। তার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তারা সেখানকার রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের নিয়ে এই আয়োজনের কথা বলে।
কুমার বিশ্বজিৎ, সংগীতশিল্পী

বিচারকের রায়ে ‘সিঙ্গাপুরে গানের পাখি ২০২০’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীর নাম ঘোষণা করা হবে। তাঁদের সবাইকে সিঙ্গাপুর ডলার এবং সনদ দেওয়া হবে। এই আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় আছে মাইক্যাশ সিঙ্গাপুর, বিসিএস.এসজি.ওয়ে ও সিংটেল। ‘সিঙ্গাপুরে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশী’ ফেসবুক পেজ থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

কুমার বিশ্বজিৎ
মনজুরুল আলম

এই আয়োজন ছাড়াও কুমার বিশ্বজিৎ ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের আয়োজনে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি শোর প্রধান বিচারক হয়েছেন। ‘আমার গান’ শিরোনামের এই আয়োজন প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ জানান, ‘করোনার এই দুঃসময়ে দারুণ একটি কাজ করছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন। উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এর মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে তিন গুণে গুণান্বিত একাধিক প্রতিভা। যারা নিজেরাই গান লেখে, সুর করে এবং নিজেরাই গায়। এমন একটি কাজের সঙ্গে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। নতুন অভিজ্ঞতা হবে।’ এই আয়োজন থেকে অবশ্যই একাধিক মেধাবী বের হয়ে আসবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করলেন কুমার বিশ্বজিৎ।