শারীরিক অবস্থার অবনতি, হাসপাতালে ফরিদা পারভীন

ফরিদা পারভীন
ছবি : সংগৃহীত

করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসাসেবা নিচ্ছিলেন। গতকালও ভালো অনুভব করছিলেন। প্রথম আলোর সঙ্গে দুপুরে আলাপে তা জানিয়েছিলেনও। আজ সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এরপর আর দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয় শিল্পীর পরিবার। দুপুরের পর তাঁকে ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বরেণ্য এই শিল্পীর হাসপাতালে ভর্তির খবরটি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

জ্বর ও খুসখুসে কাশির সমস্যা গত মাসের শেষ থেকেই অনুভব করছিলেন ফরিদা পারভীন। করোনার উপসর্গ ভেবে একাধিকবার করোনার টেস্টও করান। দুবারই ফলাফল নেগেটিভ আসে দেশবরেণ্য লালনসংগীতশিল্পীর। সর্বশেষ ৭ এপ্রিলের পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতালে যেতেই হলো।

ফরিদা পারভীন
ছবি : খালেদ সরকার

হাসপাতাল পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের এখানে তিনি কেবিনে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। তিনি কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তাঁর কিডনির অবস্থা খুব একটা ভালো না। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত। ফুসফুসের সিটি স্ক্যান রিপোর্ট দেখেছি, ৪৪ ভাগ সংক্রমিত। এ ছাড়া থাইরয়েড, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও রয়েছে তাঁর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন। আমরা আরও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে তাঁর সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার আন্তরিক চেষ্টা করছি।’

ফরিদা পারভীন
ছবি : সংগৃহীত

কথায় কথায় হাসপাতাল পরিচালক আশীষ কুমার বলেন, ‘তাঁর খাওয়াদাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। জ্বর আর কাশিও নেই। আমরা কিডনির চিকিৎসা দেওয়া শেষে তাঁকে ইনজেকশন দেওয়ার কথা ভাবছি। দেখা যাক, পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়।’
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।