সিনেমার গানে মার্সেলের যাত্রা

শাহরিয়ার আলম মার্সেল
ছবি: ফেসবুক

কয়েক বছর ধরে সংগীত পরিচালনার কাজটি করছেন শাহরিয়ার আলম মার্সেল। তাঁর সংগীত পরিচালনায় একাধিক জনপ্রিয় শিল্পী গান গেয়েছেন। সময়–সুযোগ পেলে মাঝেমধ্যে গানে কণ্ঠও দেন তরুণ এই সংগীত পরিচালক। নাটকে আর অডিওতে গাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও এত দিন তাঁর চলচ্চিত্রে গাওয়া হয়নি। সম্প্রতি তা ঘুচে গেল। ছবির পরিচালকের অনুরোধ ও উৎসাহে চলচ্চিত্রের গানে অভিষেক হয়েছে মার্সেলের।
বর্ডার সিনেমায় মার্সেলের গাওয়া গানটির শিরোনাম ‘বোকা মন’। ১২ ডিসেম্বর রাতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। প্রথম আলোকে মার্সেল জানালেন, শুরুতে এই গান অন্য শিল্পীর জন্য তৈরি করেছিলেন। গানের ডেমো ছবির পরিচালক সৈকত নাসির শোনার পর বলেন, মার্সেলই যেন গায়। তাই পরিচালকের অনুরোধ ও উৎসাহে গানটিতে কণ্ঠ দেন।

শাহরিয়ার আলম মার্সেল
ছবি: ফেসবুক

বর্ডার ছবির পরিচালক সৈকত নাসিরের ছবি ‘ক্যাসিনো’তে প্রথম সংগীত পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় মার্সেলের। ওই ছবির টাইটেল গানটি তারই করা। মার্সেল বললেন, ‘সংগীত পরিচালক হিসেবে আমি অনেক ধরনের মিউজিকের কাজ করেছি। এর মধ্যে বিজ্ঞাপনচিত্রের জিঙ্গেল, নাটকের গান, নাটকের আবহসংগীত ও বিভিন্ন অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের গান। সিনেমার গান সব সময় আলাদা মনে হয়।

কারণ, সিনেমা বরাবরই শিল্প–সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় একটা মাধ্যম। সেই মাধ্যমে এবার গায়ক হিসেবে অভিষেক হওয়ায় অনুভূতি অসাধারণ।’

বর্ডার সিনেমায় মার্সেলের গাওয়া গানটির শিরোনাম ‘বোকা মন’
ছবি: ফেসবুক

বর্ডার সিনেমার সবগুলো গানের সংগীত পরিচালনা করছেন মার্সেল। তিনি বলেন, ‘সবগুলো গানের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। এতে কাজের বৈচিত্র্যও থাকে। অথচ মজার বিষয় সবগুলো গান একটি গল্পকে কেন্দ্র করেই তৈরি হচ্ছে। এই সিনেমা আমার কাছে সবচেয়ে স্পেশাল, কারণ, আমি প্রথমবারের মতো প্লেব্যাক করেছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম মার্সেল পড়া শেষে সংগীতকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁর কিছু গান আলোচিত হয়েছে।

বর্ডার সিনেমার সবগুলো গানের সংগীত পরিচালনা করছেন মার্সেল
ছবি: ফেসবুক

২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নিজের জন্মদিনে সংগীতভুবনে অভিষেক হয় ‘মার্সেল মিক্সড দ্য এক্সপেরিমেন্টাল’ অ্যালবাম দিয়ে। এরপর প্রকাশ করেছেন নজরুলের তিনটি গানের সমন্বয়ে ‘নজরুল মেডলি’, লালনের দুটি গানের সমন্বয়ে ‘লালন মেডলি’ এবং আদিবাসীদের গান ‘কালো জলে কুচলা তলে’র রিমেক। ২০০২ ও ২০০৪ সালে ‘নতুন কুঁড়ি’তে অংশ নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও প্রথম স্থান অর্জন করেন।