সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে বাংলাদেশের বিটিএস-ভক্তরা

ভি, জাংকুক, জিমিন, সুগা, জিন, জে-হোপ, আর এম—এই সাত তরুণ মাতাচ্ছেন বিশ্ব। ২০২০ সালে প্রথম ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশিবার দেখা গানের রেকর্ড তাঁদের দখলে। ‘ডিনামাইট’ গানটির ভিউ ছাড়িয়ে গেছে ১০০ কোটির মাইলফলক। সারা বিশ্বে তাঁদের ভক্তরা ছড়িয়ে রয়েছে। বাদ নেই বাংলাদেশেও। বিটিএসের বাংলাদেশি ভক্তরা মহামারিকালের এই দুর্দিনে দাঁড়াচ্ছেন অভাবী, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে। বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত।

গানের দল, বিটিএস
ইনস্টাগ্রাম

২০১৮ সালের কথা। ‘বিটিএস আর্মি অব বাংলাদেশ’ নামে বিটিএসের বাংলাদেশি ভক্তরা এই ব্যান্ডের এক সদস্য জে-হোপের জন্মদিনে প্রথম তহবিল গড়ে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়ায়। এভাবেই তাঁরা উদ্‌যাপন করে প্রিয় তারকার জন্মদিন। সেই থেকে শুরু। এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ বার তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিটিএসের বাংলাদেশি ভক্তরা ‘শুনতে কি পাও’, ‘প্রবর্তন ফাউন্ডেশন’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণী রক্ষা ক্লাব’, ‘পথের স্কুল’–এর মতো অসংখ্য উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিটিএস আর্মি অব বাংলাদেশ পেজের অ্যাডমিন দিশিকা তাসনিম জানান, তাঁরা গত ৯ মার্চ ব্যান্ডটির তারকা সাগার জন্মদিন কাটিয়েছেন ৪০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর সঙ্গে। তাদের সঙ্গে সারা দিন খেলাধুলা করেছেন বিটিএস–ভক্তরা। শিশুদের রংপেন্সিল দেওয়া হয়েছে। দিনভর ছিল ঘুরে বেড়ানো, ছবি আঁকা আর খাওয়াদাওয়া।

সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে বাংলাদেশের বিটিএস-ভক্তরা
সংগৃহীত

করোনাকালে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে দিশিকা বলেন, ‘আমরা মহামারি মাথায় রেখে প্রতিদিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দুই বেলা খাবার দিতে চাই। শিগগিরই আমরা এই প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য জানাব আমাদের ফেসবুক পেজ ও টুইটার থেকে। যে কেউ আমাদের এই তহবিলে দান করতে পারেন। প্রজেক্ট শেষে কার কত টাকা কোন খাতে খরচ হলো, তা জানিয়ে দিই। পুরো টাকা খরচ না হলে সেটা তহবিলে জমা থাকে। পরের প্রকল্পে আমরা খরচ করি।’

ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনে সহায়তা দেওয়ার জন্য কোরীয় গানের দল বিটিএস ১০ লাখ ডলার অনুদান দেয়
সংগৃহীত

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে তাঁরা ‘মেঘের বাড়ি’ নামের একটি প্রকল্পের অধীনে ১১৫ জন শিশুকে এক বেলা খাইয়েছে। রমজানে বিটিএস এর বেশ কিছু ভক্তের দল একটি প্রকল্প চালাচ্ছেন ‘দ্য লাইট অব রমজান’ নামে।