হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন ফোয়াদ নাসের বাবু

ফোয়াদ নাসের বাবু
ছবি : সংগৃহীত

ছয় দিনের চিকিৎসা শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন ব্যান্ড ফিডব্যাকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সংগীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবু। বাসায় ফিরে এখন পুরোপুরি বিশ্রামে আছেন। এই মুহূর্তে ফোনে কথা বলাও নিষেধ। প্রথম আলোকে এমনটাই জানিয়েছেন ফোয়াদ নাসের বাবুর স্ত্রী দিনা নাসের।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ফোয়াদ নাসের বাবু। রাত ১১টার দিকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালে ভর্তি করানোর। এরপর তাঁকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। নেওয়া হয় হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে জানতে পারেন, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এরপর হার্টে একটি রিং (স্ট্যান্ট) পরানো হয়। রিং পরানো শেষে ছয় দিন হাসপাতালে থাকতে হয় তাঁকে।

ফোয়াদ নাসের বাবু
ছবি : সংগৃহীত

দিনা নাসের জানান, ফোয়াদ নাসের বাবুর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। হাসপাতাল ছাড়ার আগে তাই চিকিৎসক সেভাবেই প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন। তিনি বললেন, ‘হাসপাতাল থেকে আসার পরই গোসল করে ঘুমিয়েছেন। চিকিৎসক নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দুই সপ্তাহ পর আবার দেখা করতে বলেছেন। এই সময়টায় পূর্ণ বিশ্রামে থাকার কথাও বলেছেন।’

মেয়ের সঙ্গে বাবা ফোয়াদ নাসের বাবু
ছবি : প্রথম আলো

গত শুক্রবারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্ত্রী দিনা নাসের সেদিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় অস্থির লাগার কথা বললে বাসার কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর ইসিজি ও ব্লাডের কয়েকটি টেস্ট করাই। ওষুধ নিয়ে বাসায় ফিরে আসি। প্রেশারের ওষুধ খেয়ে বাবু যথারীতি যেমন থাকে, তেমনই ছিল। রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে। ১১টার দিকে ভাত খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠানো হয়। তখন আবারও বলছিল, ওর খুব অস্থির লাগছে। এরপর আমার মেয়েকে ডেকে বলি, এখন আর বাসায় রাখার দরকার নেই। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানতে পারি, তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এরপর রাত সাড়ে তিনটার দিকে অস্ত্রোপচার করে হার্টে রিং পরানো হয়। এই মুহূর্তে চিকিৎসকেরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।’

ফোয়াদ নাসের বাবু
ছবি : সংগৃহীত

দেশের অন্যতম সংগীত পরিচালক ও ফিডব্যাক ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফোয়াদ নাসের বাবু। ব্যান্ড পরিচালনার পাশাপাশি সংগীত পরিচালক হিসেবে টানা পাঁচ দশক কাজ করে চলেছেন তিনি। ব্যান্ডের পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞাপনচিত্রের সংগীত, নাটকের আবহ সংগীত, অডিও ও চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।