হৈমন্তী শুক্লার সুরে গাইলেন সমরজিৎ রায়

হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে সমরজিৎ রায়
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ সংগীতজীবনে গোটা দশেক গানের সুর করেছেন হৈমন্তী শুক্লা। সব কটি গান তিনি নিজেই গেয়েছেন, হৈমন্তীর ভাষায় যেমনটা করতেন মান্না দে। এবারই প্রথম তাঁর সুর করা কোনো গানে অন্য শিল্পী কণ্ঠ দিলেন। কলকাতার বাড়ি থেকে আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে হৈমন্তী জানালেন, আবদার রক্ষার্থে এবং গায়কি পছন্দ হওয়াতে সমরজিতের জন্য গানটির সুর করতে হয়েছে। সমরজিৎ রায়ও তাঁর সংগীত জীবনের শততম মৌলিক গান হৈমন্তী শুক্লার সুরে গাইতে পেরে ভীষণ উচ্ছ্বসিত।

হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে সমরজিৎ রায়
ছবি : সংগৃহীত

হৈমন্তী শুক্লার সুর করা ও গাওয়া প্রথম গানটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ সালের শেষ দিকে। ‘গানই সর্বশ্রেষ্ঠ সাধনা’ শিরোনামের এই গান তখন শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। এদিকে বাংলাদেশি গায়ক ও সংগীত পরিচালক সমরজিৎ রায়ের কথা ও সুরে ‘তুমি ভোরের পাখির মতো’ শিরোনামের একটি গান গেয়েছিলেন হৈমন্তী শুক্লা। তাই তো সমরজিৎ তাঁর শততম মৌলিক গান ‘কিছু কিছু রাত’ হৈমন্তী শুক্লার সুরারোপে গাইবার বিষয়টিকে সুরের বিনিময় হিসেবে দেখছেন।

সমরজিৎ রায়
ছবি : সংগৃহীত

সমরজিৎ রায়কে নিজের স্নেহের পাত্র এবং গুণী আখ্যা দিয়ে হৈমন্তী শুক্লা বললেন, ‘গাওয়ার পাশাপাশি সমরজিৎ এমনিতে ভালো সুর করে এবং লেখেও। এই গানের লিরিক পাঠিয়ে ছোট ছেলের মতো বায়না করল, সুর করে দেওয়ার। কিন্তু আমি তো সুরকার নই, অন্য কেউ সুর করে দিলেই গেয়ে থাকি। আগে যে কয়েকটা গানের সুর করেছি, সব কটি আমিই গেয়েছি। শেষ পর্যন্ত আবদার ফেলতে না পেরে সুর করে দিয়েছি। তবে সুর কেমন হয়েছে জানি না, কিন্তু গানটা রেকর্ড করে পাঠানোর পর শুনে খুব ভালো লেগেছে। অনেক ভালো গেয়েছে সমরজিৎ। আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের কাছেও খুব সমাদৃত হবে।’

হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে সমরজিৎ রায়
ছবি : সংগৃহীত

অন্যদিকে সমরজিৎ বলেন, ‘আমি ভীষণভাবে আবেগে আপ্লুত যে, হৈমন্তী দিদির মতো এত বড়ো মাপের একজন শিল্পী আমার জন্য সুর করেছেন। তাঁর জীবনে বাইরের কোনো শিল্পী হিসেবে আমার জন্য সুর করাটা জীবনের এক বিশাল প্রাপ্তি। তাঁর সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাইতে পারাটাও ছিল আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’
গাইবার পাশাপাশি ‘কিছু কিছু রাত’ গানটির কথা লিখেছেন এবং সংগীতায়োজন করেছেন সমরজিৎ।