যৌন নিপীড়ন নিয়ে সরব মার্কিন মডেল
২০১৪ সালে দুনিয়াজুড়েই সাড়া ফেলেছিল ‘ব্লারড লাইনস’। এটি ছিল সেই বছরের যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ ডাউনলোড করা গান। সাত বছর পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে এই গান, তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। মার্কিন সুপারমডেল এমিলি রাডাকাউস্কির অভিযোগ, এই গানের সংগীতচিত্র ধারণের সময় সেটে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
এমিলি তাঁর প্রকাশিতব্য বই ‘মাই বডি’তে গানটির গীতিকার ও মডেল রবিন সেকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন ৩০ বছর বয়সী এই মডেল। ২০১৩ সালে ভিডিওটি ধারণের সময় তাঁর অনুমতি না নিয়ে তাঁকে আপত্তিকরভাবে জড়িয়ে ধরেছিলেন সেক। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া দেননি সেক (৪৪)।
এমিলি রাডাকাউস্কির বইটির অংশবিশেষ সম্প্রতি সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে রাডাকাউস্কি লিখেছেন, ‘সেক মদ্যপ অবস্থায় শুটিং সেটে আমার কাছে এসেছিল। হঠাৎ মনে হলো, দুটি হাত পেছন থেকে আমার বুকে চেপে বসেছে। আমি নড়তে পারছিলাম না। পেছনে তাকিয়ে দেখি রবিন সেক। অবমাননাকরভাবে তিনি আমাকে পীড়ন করেন।’ সংগীতচিত্রের পরিচালক ডায়ান মার্টেল ঘটনাটি স্মরণ করে সানডে টাইমসকে বলেন, ‘যত দূর মনে পড়ে, রাডাকাউস্কিকে পেছন থেকে জাপটে ধরেছিল সেক।’ ঘটনার পর সেক অবশ্য অনুতপ্ত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।
বিশ্বব্যাপী দারুণ জনপ্রিয়তা পায় ‘ব্লারড লাইনস’। তবে গানটির কথা ও ভিডিও তখন সমালোচিত হয়েছিল। অনেকেই আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, গানটি অসম্মতিবাচক যৌন সম্পর্ককে ইন্ধন দিয়েছে। এমনকি গানটির শিল্পী ফ্যারেল উইলিয়ামস জানিয়েছিলেন, গানটির কথা তাঁকে বেশ বিব্রত করেছিল। অন্যদিকে ২০১৩ সালে সেক বিবিসিকে বলেছিলেন, সমালোচকেরা গানটির অর্থ বুঝতেই পারেননি।