তিন তারকার মাকে সম্মাননা জানাচ্ছে ইউনিভার্সেল মেডিকেল

তিন তারকার মাকে সম্মাননা জানাচ্ছে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকোলাজ

বিনোদন অঙ্গনের তিন তারকার মাকে সম্মাননা জানাচ্ছে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ১১ মে রোববার মা দিবস উপলক্ষে ঢাকার মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অভিনয় ও সংগীতাঙ্গনের তিন তারকার মায়ের হাতে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

মায়ের সঙ্গে অভিনয়শিল্পী সুমাইয়া শিমু
ছবি : আশীষ কুমার চক্রবর্তীর সৌজন্যে

আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানান, মা দিবস উপলক্ষে তাদের প্রতিষ্ঠান গরবিনী মা শিরোনামে সম্মাননা প্রদান উৎসবের আয়োজন করে। এ বছর এই আয়োজনের এক যুগ পূর্তি হতে যাচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ১২ জন গুণী ব্যক্তির মায়েদের সম্মাননা জানানো হচ্ছে। বিনোদন অঙ্গন থেকে অভিনয়ে সুমাইয়া শিমু ও আবদুন নূর সজলের মা এবং গানে দিলশাদ নাহার কনার মাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে।

মায়ের সঙ্গে অভিনয়শিল্পী সজল
ছবি : আশীষ কুমার চক্রবর্তীর সৌজন্যে

হাসপাতালের পক্ষ থেকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে জানানো হয়েছে, রাওয়া ক্লাবের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। প্রশাসন, আইন ও বিচার, শিক্ষা, অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা, চিকিৎসা, প্রকৌশল, সাংবাদিকতা, সংগীত, অভিনয় (নারী ও পুরুষ) এবং বিশেষ ক্ষেত্রের অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীর মায়েদের এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

মায়ের সঙ্গে সংগীতশিল্পী কনা
ছবি : আশীষ কুমার চক্রবর্তীর সৌজন্যে

গরবিনী মা সম্মাননার প্রধান উদ্যোক্তা আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানান, ‘সমাজের গুণীজনদের মায়েদের সম্মাননা জানানোর ব্যাপারটি আমাদের হাসপাতালের একটি সামাজিক উদ্যেগ। আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, রাষ্ট্র ও সমাজে যাঁরা গুণীজনদের আসনে থাকেন, তাঁদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মায়েদের কতটা ত্যাগস্বীকার করতে হয়, কতটা পরিশ্রম করতে হয়, কতটা কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়। মায়েদের এসব সংগ্রাম ও পরিশ্রমের মূল্য কোনো সন্তান কখনোই দিতে পারে না। পৃথিবীর কারও পক্ষে তা সম্ভব নয়। আমরা এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে সেই সব মায়ের প্রতি কিছুটা সম্মান জানানোর চেষ্টা করি। আমাদের এই আয়োজনে কোনো মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয় না। মা তাঁর জীবদ্দশায় সন্তানের সাফল্যের জন্য পুরস্কৃত হন!’