সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিব খান

শুরু হচ্ছে মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। নানা আয়োজনে জমকালো এই অনুষ্ঠানে আসছেেন অতিথি ও তারকারা।

ইতিমধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে এসেছেন অভিনেতা আফজাল হোসেন ও অভিনেত্রী দিলারা জামান।

এসেছেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম, তাসনিয়া ফারিণ, সংগীতশিল্পী নাফিসা কামাল।

মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের রেড কার্পেটে অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম, অভিনেত্রী আনিকা কবির শখ ও সাদিয়া আয়মান।

এছাড়াও রেড কার্পেটে এসেছেন অভিনেতা মুকিত জাকারিয়া, অভিনেত্রী অতিথি রহমান দোলা, অভিনেতা ফররুখ আহমেদ রেহান।

আরও এসেছেন নির্মাতা কামার আহমেদ সাইমন ও তাঁর স্ত্রী প্রযোজক সারা আফরিন, চিত্রনায়কা মন্দিরা চক্রবর্তী।

রেড কার্পেটে আফসান আরা বিন্দু, সংগীতশিল্পী জেফার, নির্মাতা আশফাক নিপুন, সংগীতশিল্পী এলিটা করিম, অভিনেতা এফ এস নাঈম, নির্মাতা তৌকির আহমেদ ও অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল।

অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী, মালাইকা চৌধুরী রেড কার্পেটে। এসেছেন অভিনেতা ইয়াশ রোহান ও তাঁর বাবা নরেশ বিশ্বাস।

মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার–২০২৪–এর রেড কার্পেটে আরও যারা এসেছেন।

সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে শুরু হয়েছে মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন স্কয়ার টয়লেট্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মালিক মোহাম্মদ সাঈদ।

অভিনেতা আফজাল হোসেনকে মঞ্চে ডেকে নিয়েছেন আনিসুল হক। তিনি ভালোবাসা নিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান অতিথিদের।

অভিনেতা আবুল হায়াত আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনকর্মের ওপর একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। সম্মাননা তুলে দেন অভিনেত্রী দিলারা জামান।

তাকে একটি উত্তরীয় পরিয়ে দেন স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

পুরস্কার পাওয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানান আবুল হায়াত। তিনি বলেন, এই পুরস্কার আমার নয়। তিনি সহশিল্পীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

মিডিয়া জগতের পর্দার পেছনের কলাকুশলীদের ধন্যবাদ জানান এই অভিনেতা।

পরিবার সব অনুপ্রেরণার উৎস। মা–বাবা ও পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করেন।

আবুল হায়াত তাঁর পুরস্কার স্ত্রী শিরিন হায়াতকে উৎসর্গ করেন।

পুরকৌশলে স্নাতক আবুল হায়াত অভিনয়শিল্পকে গ্রহণ করেছিলেন অন্তর ও অন্দর থেকে, যেহেতু অভিনয়ে তাঁর হাতেখড়ি বাড়িতে, সেই স্কুলে পড়ার সময়, একটা চৌকিকে মঞ্চ বানিয়ে, তাতে একটা ‘নাটক’ নামিয়ে।

শৈশবের ওই ঘটনাটি স্মরণীয় অভিনয় এবং অভিনয়সংশ্লিষ্ট সংস্কৃতিকে তাঁর চিত্তবিকাশের একটি অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করে ভবিষ্যতের পথচলার উৎস চিহ্ন হিসেবে। আবুল হায়াতকে পরিবারের লোকজন ডাকতেন রবি নামে, যে রবি স্কুল-কলেজে পড়ার সময়েই আরেক রবির প্রভাববলয়ে ঢুকে পড়েন; এবং তাঁর সাহিত্যকর্মকে অনুপ্রেরণার একটা বড় অঞ্চল হিসেবে গ্রহণ করেন।

মন্দিরা চক্রবর্তী, হৃদি শেখ ও তমা মির্জার দলীয় নৃত্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। উপস্থিত দর্শকেরা মনোমুগ্ধকর এ পরিবেশনা উপভোগ করেন।

এবারের আয়োজনের উপস্থাপনা কে করবেন তা নিয়ে জল্পনা ছিলো। অবশেষে জানা গেলো তাদের নাম। সবার কৌতুহলের অবসান ঘটিয়ে মঞ্চে এলেন আফরান নিশো।

মঞ্চে এসেই প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদিকে স্মরণ করেন নিশো। এরপর সবাইকে স্বাগত জানান।

এরপর নাটকীয় ভঙ্গিতে অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণকে মঞ্চে ডেকে নেন আফরান নিশো। ফারিণকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘রঙে রঙে’ গানের শিল্পী হিসেবে।

সমালোচক পুরস্কার–২০২৪ ওয়েব সিরিজের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়।

পুরস্কার তুলে দিতে মঞ্চে উঠেছেন অভিনেত্রী আফসানা মিমি ও অভিনেতা আশফাক নিপুন।

তালিকায় ছিলো কালপুরুষ, রঙিলা কিতাব ও সিনপাট। এগুলোর মধ্যে সমালোচক পুরস্কার পেয়েছে রঙিলা কিতাব।

অনম বিশ্বাস ও আশরাফুল আলম শাওন (রঙিলা কিতাব), গুলতেকিন খান ও নুহাশ হুমায়ুন (২–ষ), সালজার রহমান (কালপুরুষ)

মনোনয়ন পেয়েছেন অনম বিশ্বাস (রঙিলা কিতাব), নুহাশ হুমায়ুন (২ষ), সালজার রহমান (কালপুরুষ)।

সেরা পরিচালক পুরস্কার পেলেন নুহাশ হুমায়ুন (২ষ)।

ওয়েব সিরিজ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন জিন্নাত আরা (সিনপাট), পরীমনি (রঙিলা কিতাব), মেহজাবীন চৌধুরী (আরারাত)।

পুরস্কার পেয়েছেন জিন্নাত আরা (সিনপাট)।

মনোনয়ন পেয়েছেন এফ এস নাঈম (কালপুরুষ), মোশাররফ করিম (আধুনিক বাংলা হোটেল), মোস্তাফিজুর নূর ইমরান (রঙিলাকিতাব)। 

পুরস্কার পেয়েছেন মোশাররফ করিম (আধুনিক বাংলা হোটেল)। তাঁর পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন পরিচালক কাজী আসাদ।

অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম দুষ্টু কোকিল গানে নৃত্য পরিবেশন করেন। উপস্থিত দর্শকেরা এই নৃত্য উপভোগ করেন।

 সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র বিভাগে সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছেন সুব্রত সঞ্জীব (রোদ বৃষ্টির গল্প)।

পুরস্কার তুলে দেন অভিনেতা তৌকির আহমেদ ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র সেরা নির্দেশক পুরস্কার জিতলেন জাহিদ প্রীতম (বুক পকেটের গল্প)

পুরস্কার তুলে দেন অভিনেতা তৌকির আহমেদ ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাসনিয়া ফারিণ (পরস্পর), মেহজাবীন চৌধুরী (তিথিডোর), সাদিয়া আয়মান (রোদ বৃষ্টির গল্প)।

বিজয়ী তাসনিয়া ফারিণের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অভিনেতা তৌকির আহমেদ ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

মনোনয়ন পেয়েছিলেন সেরা অভিনেতা ইয়াশ রোহান (ইতিবৃত্ত), খায়রুল বাসার (পরস্পর), খায়রুল বাসার (রোদ বৃষ্টির গল্প)।

বিজয়ী খায়রুল বাসারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অভিনেতা তৌকির আহমেদ ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের মনোনয়ন পেয়েছে আকরাম খানের (নকশীকাঁথার জমিন), আদনান আল রাজীবের (প্রিয় মালতী) গিয়াস উদ্দিন সেলিমের (কাজলরেখা)।

পুরস্কার পেয়েছে আদনান আল রাজীবের (প্রিয় মালতী)। তিনি দেশের বাইরে থাকায় চলচ্চিত্রের পরিচালক শঙ্খ ঘোষ, চরকির সিইও রেদওয়ান রনি ও মেহজাবীন চৌধুরী পুরস্কার গ্রহণ করেন।

পুরস্কার তুলে দেন শহীদুজ্জামান সেলিম ও আজমেরি হক বাঁধন।

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন নূরুল আলম আতিক (পেয়ারার সুবাস), রবিউল আলম রবি (ফরগেট মি নট) ও শঙ্খ দাশগুপ্ত (প্রিয় মালতী)।

পুরস্কার পেয়েছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত (প্রিয় মালতী)।

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন তাসনিয়া ফারিণ (কাছের মানুষ দূরে থুইয়া), মেহজাবীন চৌধুরী (প্রিয় মালতী), সারিকা সাবরিন (মায়া)।

প্রথমবারের মতো সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী (প্রিয় মালতী)।

সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রীতম হাসান (কাছের মানুষ দূরে থুইয়া), মামনুন হাসান ইমন (মায়া), রওনক হাসান (নয়া মানুষ)।

সেরা অভিনেতা পুরস্কার জিতলেন মামনুন হাসান ইমন (মায়া)।

চলচ্চিত্র জগতে শাকিব খানের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একট তথ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। তথ্যচিত্রে তাঁর অভিনীত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের ভিডিও, গান ও সংলাপ দেখানো হয়। তথ্যচিত্রের নাম মেগাস্টার শাকিব খান।

দলীয় নৃত্য পরিবেশন শেষে মঞ্চে আসেন অভিনেতা শাকিব খান।

বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শাকিব খানকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা তুলে দেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমেটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ও চিত্রপরিচালক মতিন রহমান।

সেরা নবীন অভিনয়শিল্পী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন কারিনা কায়সার (৩৬-২৪-৩৬) জেফার রহমান (লাস্ট ডিফেন্ডার্স অব মনোগামী), ফররুখ আহমেদ রেহান (যুগল), মালাইকা চৌধুরী (সন্ধিক্ষণ)।

সেরা নবীন অভিনয়শিল্পী হয়েছেন ফররুখ আহমেদ রেহান (যুগল)। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাপ্পা মজুমদার ও কনক চাপা।

মনোনয়ন পেয়েছেন অবন্তী সিঁথি, বেঁচে যাওয়া ভালোবাসা ও দেয়ালের দেশ, তাসনিয়া ফারিণ ‘রঙে রঙে রঙিন হব’, দিলশাদ নাহার কনা, ‘দুষ্টু কোকিল’, তুফান ও সোমনূর মনির কোনাল, ‘রাজকুমার’, রাজকুমার।

সেরা গায়িকার পুরস্কার পেয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাপ্পা মজুমদার ও কনক চাপা।

সেরা গায়ক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ‘কথা একটাই’ , তাহসান খান ‘রঙে রঙে রঙিন হব’, প্রীতম হাসান ‘লাগে উরা ধুরা’ ও তুফান, মাহতিম শাকিব, ‘মেঘবালিকা’ ও কাছের মানুষ দূরে থুইয়া।

সেরা গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন প্রীতম হাসান।

সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী, লাভ সাব; তাসনিয়া ফারিণ, স্মৃতিস্মারক; মেহজাবীন চৌধুরী, তিথিডোর; সাবিলা নূর, গোলাম মামুন।

পুরস্কার পেয়েছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ও অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু।

সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পেয়েছেন ইয়াশ রোহান, ইতিবৃত্ত; জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, গোলাম মামুন; তৌসিফ মাহবুব, লাভ সাব ও ফারহান আহমেদ জোভান, ভিতরে বাহিরে।

পুরস্কার পেয়েছেন তৌসিফ মাহবুব। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ও অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু।

সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন (প্রেক্ষাগৃহের চলচ্চিত্র) তাসনিয়া ফারিণ, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া; পূজা চেরী, লিপস্টিক; মেহজাবীন চৌধুরী, প্রিয় মালতী; শবনম বুবলী, দেয়ালের দেশ।

প্রিয় মালতী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পুরস্কার উঠেছে মেহজাবীন চৌধুরীর হাতে। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন অভিনেতা আফজাল হোসেন ও জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ।

সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন— ইমন, মায়া; প্রীতম হাসান, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া; শাকিব খান, তুফান; শরীফুল রাজ, দেয়ালের দেশ।

সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন শাকিব খান। তুফান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁর হাতে এ পুরস্কার উঠেছে।

শাকিব খানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অভিনেতা আফজাল হোসেন ও জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ।

শাকিব খান পুরস্কার গ্রহণের পর তাকে মঞ্চ থেকে নামতে দিলেন না তাসনিয়া ফারিণ। ঘোষণা দিলেন চমকের। এর মধ্যে দর্শক সারির ভেতর থেকে দল নিয়ে ‘লাগে উরাধুরা’ গান গাইতে গাইতে মঞ্চে উঠে আসেন প্রীতম হাসান।

এরপর মঞ্চে গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করেন শাকিব খান, তাসনিয়া ফারিণ, আফরান নিশো ও প্রীতম হাসান। দর্শকেরা তাদের পরিবেশনা বেশ উপভোগ করেন।

নৃত্য পরিবেশন শেষে মঞ্চে আসেন দিলশাদ নাহার কনা, মামনুল হক ইমন, মেহজাবীন চৌধুরী, প্রীতম হাসান, তাসনিম সাইয়ারা তটিনী, ফররুখ আহমেদ রেহান ও শঙ্খ ঘোষ। তাঁরা শাকিব খানের সঙ্গে ছবি তোলেন।