বাংলাদেশের সিঁথি ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ চ্যাম্পিয়ন

সিঁথি সাহা

ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলার জনপ্রিয় গেম শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর নবম মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশের কণ্ঠশিল্পী সিঁথি সাহা। ২২ এপ্রিল চ্যানেলটির স্টুডিওতে ধারণ করা হয় পর্বটি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জি বাংলায় দেখানো হয় সেটি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের টিভি চ্যানেলের এ অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কেমন লেগেছে? অনুভূতি জানিয়ে সিঁথি সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন নারী হিসেবে এটি আমার জন্য অবশ্যই অনেক সম্মানের। ভাবতেই পারিনি যে আমি জিততে পারব। কারণ, অনুষ্ঠানে আরও তিনজন বাঘা প্রতিযোগী ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রচনা দিদি স্টেজে আমার যেভাবে প্রশংসা করছিলেন, শুনে বাঙালি হিসেবে আমার বুক ভরে গেছে।’

দিদি নাম্বার ওয়ান–এর প্রতিযোগীরা

উপস্থাপিকা যখন বিজয়ী হিসেবে সিঁথির নাম ঘোষণা করছিলেন, তখন ভীষণ অবাক হয়েছেন সিঁথি সাহা। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝে ওঠার আগেই নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফল শুনে আমি তো অবাক! থ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ওখানে সবাইকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমাকে কেন বিজয়ী করা হলো। আমার কথা শুনে সবাই হেসেছেন।’

দিদি নাম্বার ওয়ান–এ সিঁথি

এই পর্বে সিঁথি সাহার সঙ্গে অংশ নেন কলকাতার একজন গায়ক, একজন রাজনীতিবিদ ও একজন আরজে। পর্বটিতে গান, তাৎক্ষণিক বুদ্ধি পরীক্ষাসহ কয়েকটি গেম খেলতে হয়েছে। পাঁচটি রাউন্ডে সাজানো হয়েছিল এ পর্ব। সিঁথি বলেন, ‘আমি প্রথম দুটি রাউন্ডে পিছিয়ে ছিলাম। ভালো করতে পারিনি। শেষ তিন রাউন্ডের পারফরম্যান্সের ফল আমাকে এগিয়ে দিয়েছে।’

নির্ধারিত পুরস্কারের পাশাপাশি বেশ কিছু উপহার পেয়েছেন সিঁথি

গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠানটিতে আমন্ত্রণ পান সিঁথি সাহা। কিন্তু ভিসা–জটিলতার কারণে সেবার তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি। সিঁথি বলেন, ‘জি বাংলা থেকে গত মাসে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ভারতীয় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। নতুন ভিসা করে চলতি মাসে অনুষ্ঠানটির নবম সিজনে অংশ নিয়েছি।’

সম্প্রতি কলকাতার সিনেমায় গান করেছেন সিঁথি সাহা। রাজ দীপ পরিচালিত সেই ছবির নাম ‘বনবিবি’। ‘রঙিলা’ শিরোনামে গানটিতে কলকাতার সৌম্যদীপের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন সিঁথি। এবারই প্রথম তিনি কলকাতার ছবিতে গাইলেন। ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ অনুষ্ঠানটিতে আধুনিক সমাজের নারীদের গল্প বলা হয়, যারা সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছে যান।