হলো না মিটমাট, জিতু–নবনীতার বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে
গত বছর থেকে বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় আসেন অভিনেতা জিতু কমল ও অভিনেত্রী নবনীতা দাস। ঘটনার সূত্রপাত ঘটান নবনীতা। তিনি হঠাৎ ফেসবুকে বিচ্ছেদের কথা পোস্ট করেন। তারপর শুরু হয় আলোচনা। পরে অবশ্য নবনীতাকে একাধিকবার দেখা গেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করতে। তখন ধারণা করা হয়েছিল, হয়তো বিচ্ছেদ নয়, মিটমাট হচ্ছে এই দম্পতির। তা আর হলো না। বিচ্ছেদ হয়েছে এই দম্পতির।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে জানা যায়, আইনগতভাবে গত বছরের ১৭ নভেম্বর জিতু ও নবনীতার বিচ্ছেদ হয়। গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি রিল প্রকাশ করেন নবনীতা। আলো-ছায়ার মাঝখানে পাহাড়ে জিতুর সঙ্গে কাটানো একটা সকালের ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। দেখে স্বাভাবিকভাবে মনে হচ্ছিল, জোড়া লাগছে সম্পর্কে। কিন্তু ভিডিওতে ভয়েস ওভারে প্রকাশ্যে আসে বিচ্ছেদের কথা।
ভিডিওর নেপথ্যে ভেসে আসে, ‘কাছে আসার জন্য দূরে যেতে হয়’। এরপর আর ভক্তদের বুঝতে বাকি থাকে না যে এই দম্পতির বিচ্ছেদ হয়েছে। এ নিয়ে জিতু বলেন, ‘আমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুব একটা দেখা হয় না। ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, আমাদের আইনত বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এর বেশি নবনীতাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করিনি, করবও না।’ শেষে জিতু এটাও জানান যে তিনি এখন একা।
২০১৯ সালের ৬ মে এই দম্পতি সাত পাকে বাঁধা পড়েন। গত বছরের শুরুর দিকেও তাঁদের সংসার ভালোই চলছিল। এর মধ্যে দুজনের ক্যারিয়ারে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়। তারপরও তাঁরা হাল ছাড়েননি। তবে কেন হঠাৎ করেই গত বছর ফেসবুকে নবনীতা প্রথম বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে কথা বলেন, সেটা জানা যায়নি। এদিকে জিতুর সঙ্গে ঘর ভাঙার পর শোনা যাচ্ছিল, জিতুর এক ব্যবসায়ী বন্ধুর সঙ্গে নবনীতার সম্পর্ক রয়েছে। তবে এই গুঞ্জনের ব্যাপারে সত্যতা নিয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।