‘নতুন প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণর আবিষ্কার’

ঋতুপর্ণ ঘোষ। এক্স থেকে

বাণিজ্যিক সিনেমায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সেই প্রসেনজিৎকে পুরোপুরি ভিন্নভাবে পাওয়া যায় ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমায়। বাণিজ্যিক সিনেমার ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ যেন ঋতুর ছবিতে শান্ত, সুবোধ বালক।

‘চোখের বালি’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

কে জানত, ধুন্ধুমার অ্যাকশন ছবির এই নায়ক ড্রামা সিনেমায় এত ভালোভাবে মানিয়ে যাবেন! নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের সব কৃতিত্ব প্রসেনজিৎ বরাবরই ঋতুপর্ণকে দেন। আজ ৩০ মে ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রয়াণ দিবস। এ উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক এই অভিনেতা-নির্মাতা জুটির গল্প।

২০১৩ সালের ৩০ মে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। প্রয়াণের এত বছর পরও নানা কথা, নানা আলোচনায় বিভিন্ন টালিউড ব্যক্তিত্ব, সিনেমাপ্রেমীদের কথায় উঠে এসেছে তাঁরই কথা। যেমনভাবে এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁকে নতুন জন্ম দিয়েছিলেন।

ইউটিউব চ্যানেল গালাট্টা প্লাসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁকে নতুন জন্ম দিয়েছিলেন।

‘দোসর’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

তাঁর মধ্যে লুকিয়ে থাকা আরেক প্রসেনজিৎকে তিনি বের করে এনেছিলেন। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলি যে ঋতু আমাকে একটা জিনিস বুঝিয়েছে, যে আমার মধ্যে আরও একটা প্রসেনজিৎ আছে। ওই আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছে।’

এরপরই প্রসেনজিৎকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন আমি অধিকাংশ সাক্ষাৎকারে বলি যে সৃজিত (পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়), কৌশিক (পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়) এদের সঙ্গে আমি বেশি কাজ করি, কিন্তু সেই নতুন প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণর আবিষ্কার। ওই বুঝিয়েছিল যে আমার মধ্যে আরও অন্য কিছু আছে। তো সেই শুরু। ওটা আমার একটা নতুন জন্ম ছিল।’

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ঋতুপর্ণ ঘোষের একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। এই ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হলো ‘চোখের বালি’, ‘উৎসব’, ‘দোসর’, ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’, ‘খেলা’ ইত্যাদি।