অবশেষে অভিনয়ে ফিরলেন তিনি

‘এই পাত্রী আমার’ নাটকের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন আমিরুল হক চৌধুরী
সংগৃহীত

করোনা মহামারির কালে কোনো শুটিংয়ে অংশ নেননি প্রবীণ অভিনেতা আমিরুল হক চৌধুরী। শুটিং ইউনিটকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় অনেক নাটকের চিত্রনাট্য ফিরিয়ে দিয়েছেন এই গুণী শিল্পী। তাঁর মতে, শুটিংয়ে চিত্রধারণ এবং মেকআপ রুমে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয়। তা ছাড়া শুটিংয়ে অনেকেই দল বেঁধে আড্ডা দেয়। তবে বিশেষ কারণে ফিরলেন নাটকে। নাটকটির নাম ‘এই পাত্রী আমার’। নাটকটির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন তিনি।
আমিরুল হক চৌধুরী জানান, করোনার কারণে অনেক দিন অভিনয় করেননি। পরিচালক সুজিত বিশ্বাস নাটকের পাণ্ডুলিপি দিলে সেটি তাঁর পছন্দ হয়। পরে তিনি শর্ত দিয়ে দেন। তাঁর শর্তের মধ্যে ছিল, তাঁকে আলাদা একটি গাড়ি ও শুটিংয়ের অবসরে বিশ্রামের জন্য আলাদা একটি রুমের ব্যবস্থা করা।

‘এই পাত্রী আমার’ নাটকের দৃশ্যে আমিরুল হক চৌধুরী ও মীর সাব্বির
সংগৃহীত

এই অভিনেতা বলেন, ‘নাটকটির পরিচালক সুজিত সালাহউদ্দিন লাভলুর ‘হাড়কিপটে’ নাটকের সময়ে সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করে। তখন থেকেই তাকে আমি বিশেষ স্নেহ করতাম। তার গল্পটা আমার পছন্দ হয়। কিন্তু আমি তো বয়স্ক মানুষ। আমাদের জন্য বাইরে গিয়ে শুটিং করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাকে নিরাপত্তা নিয়ে শর্ত দিলে সে রাজি হয়। তখন আর না করতে পারলাম না।’

‘এই পাত্রী আমার’ নাটকের দৃশ্যে আমিরুল হক চৌধুরী ও মীর সাব্বির
সংগৃহীত

কাজ করে বেশ ভালো লেগেছে এই অভিনেতার। শুটিংয়ে অভিজ্ঞতা থেকে তিনি মনে করেন, শুটিং বাড়ির মালিকদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
সুজিত জানান, তাঁরা এই প্রবীণ অভিনেতার জন্য যেমন আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলেন, তেমনি শুটিং ইউনিটেও এই অভিনেতার সতর্কতা বজায় রাখার জন্য একজন সহকারী পরিচালক ছিলেন। তাঁরা শুটিং ইউনিটের কাউকেই এই অভিনেতার কাছে আসতে দেননি। শুটিংয়ের সবাইকে সার্বক্ষণিক মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হয়েছে। এই অভিনেতার একটি দৃশ্য শেষ হলেই তাঁকে নির্দিষ্ট একটি ঘরে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাপ–বেটার মজার সম্পর্ক নিয়ে নাটকের গল্প’ এটি লিখেছেন পরিচালক নিজেই। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির ও ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর।