আমি কাউকে ফাঁসাব না, গেলে বলে যাব
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া–আসার মধ্যে থাকার কারণে কয়েক বছর ধরেই অভিনয়ে অনিয়মিত তানিয়া আহমেদ। মাঝেমধ্যে দেশে ফিরলেও নির্মাতাদের ধারণা, হঠাৎ আবার দেশ ছাড়বেন তিনি। কাজের মধ্যে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই নাকি তাঁর শিডিউল নিতেই ভয় পান বলে জানালেন এ অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভাবছেন, আমি দেশে থাকি না। আমি কিন্তু দেশেই আছি। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পেয়েছি। ওই দেশের নাগরিকত্ব পেলেও অন্তত শুটিংয়ে আমি কাউকে ফাঁসাব না। দেশের বাইরে গেলে তো বলেই যাব, সব কাজ শেষ করে দিয়েই যাব।’
তানিয়া বলেন, ‘দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলাম। যে কারণে আমাকে টানা কয়েক বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে হয়েছে। এ সময় অনেকেই মনে করেছেন আমি আর দেশে ফিরব না। আমি মূলত গ্রিন কার্ডের জন্যই নিয়ম অনুযায়ী ছিলাম। গ্রিন কার্ড হয়ে গেছে। এখন অনেক সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার কিছু নেই। আগামী পাঁচ বছর হয়তো যাওয়া–আসার মধ্যেই থাকতে হবে। মাঝেমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও সেটাকে আমি বলব, অভিনয় থেকে ব্রেক নেওয়া। টানা কাজের পাশাপাশি নিজেকে সময় দেওয়ারও দরকার আছে। তা ছাড়া আমার বড় ছেলে সেখানে পড়াশোনা করে। এমনিতেই আমাকে যেতে হতো। আপাতত দেশে আছি। এখন টানা কাজের পরিকল্পনা করছি।’
এই অভিনেত্রীর বড় সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেন। যে কারণে প্রায়ই তাঁকে যেতে হতো। গত নভেম্বরে দেশে ফিরেছেন তিনি। এখন পুরো পরিকল্পনা করছেন নিয়মিত অভিনয় ও ঈদের নাটক নির্মাণ নিয়ে। তবে সুখবর দিলেন তানিয়া আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক নাটক নির্মাণ করেছি। আগামী ঈদের জন্য অনেক কাজে যুক্ত হব। বেশ কিছু নাটক নির্মাণ করব। পাশাপাশি আমার চিন্তা এখন সিনেমা নিয়ে। সমাজের নারীদের সংগ্রাম পর্দায় তুলে ধরব। কেউ যেন বলে, ছেলেদের পাশাপাশি তানিয়া নারী হয়ে অসাধারণ মেকিং করছেন। সেটা যেন দর্শকেরা উপলব্ধি করতে পারেন, সেই চেষ্টা নিয়েই আমি এগোচ্ছি। এটা আমার প্যাশনের জায়গা। গল্প প্রস্তুত করছি। সময় হলেই বাকি সব ঘোষণা দেব।’
বর্তমানে ‘১০০ তে একশো’ ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করছেন তিনি। বর্তমান প্রজন্মের একাধিক অভিনয়শিল্পী রয়েছেন এ নাটকে। তরুণদের সঙ্গে কাজ করে বুঝতে পারছেন, তাঁরা অনেক বেশি কমার্শিয়াল। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘এখন তো চার–পাঁচজন শিল্পী নাট্যাঙ্গনে আধিপত্য চালাচ্ছেন, সাত–আটজন নির্মাতা গ্রুপিং করে কাজ করেন। এটা আমার পছন্দ নয়। আমাদের সময়েও গ্রুপিং ছিল, কিন্তু টেকেনি। আমাদের নাটককে এগিয়ে যেতে হলে সামগ্রিকভাবে এগোতে হবে। তরুণদের বলব, খ্যাতির জন্য পাগল হয়ে যেও না।’