কেন অভিনয় থেকে দূরে মামুনুল হক

পর্দায় তাঁর হাসিখুশি উপস্থিতি দর্শকদের আলাদা নজর কাড়ত
ছবি: ফেসবুক

‘চড়ুইভাতি’, ‘সিক্সটি নাইন’, ‘একটু’, ‘বাঁশি’, ‘ভাতঘুম’সহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছিলেন অভিনেতা মামুনুল হক। সহজেই অভিনীত চরিত্রগুলোর সঙ্গে মানিয়ে যেতেন মামুনুল। পর্দায় তাঁর হাসিখুশি উপস্থিতি দর্শকদের আলাদা নজর কাড়ত। অপি করিম, জয়া আহসান, নুশরাত ইমরোজ তিশাসহ অনেক অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে সমানতালে অভিনয় করেও হঠাৎ অভিনয় থেকে দূরে সরে যান। কেন অভিনয় ছেড়েছিলেন তিনি?

‘চড়ুইভাতি’ নাটকের একটি দৃশ্যে ইলোরা গহরের সঙ্গে
ছবি: সংগৃহীত

মামুনুল বলেন, ‘আমি “চড়ুইভাতি” দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলাম। ২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ৫ বছর কাজ করেছি। পরে ২০০৮ সালে ইউনিসেফে চাকরি নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাই। সেখানে বেশ কয়েক বছর থাকতে হয়। ফিরে দেখি, নাট্যাঙ্গনে কাজের পরিবেশ বদলে গেছে। আমিও আমার পেশার কারণে ব্যস্ত হয়ে গেছি। কাজের জায়গায় প্রচুর সময় দিতে হয়। সেই কারণেই অভিনয় আর কনটিনিউ করা হয়নি। আর অভিনয়টা কখনোই আমার মূল পেশা ছিল না। অনেকটা শখের বশেই অভিনয় করতাম।’

অনেকটা শখের বশেই অভিনয় করতেন মামুনুল
ছবি: ফেসবুক

তবে অভিনয়ের প্রতি এখনো মামুনুলের টান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘চরিত্র, গল্প পছন্দ হলে এখনো অভিনয় করব। এই প্রজন্মের নির্মাতাদের সঙ্গে অনেক বড় একটা গ্যাপ হয়ে গেছে। অনেকে আমাকে হয়তো চেনেনই না। কেউ কেউ আবার কাজের জন্য নকও করেন। ২০১৩ সালে মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর এক সহকারীর একটি নাটক করেছিলাম। ২০২০ সালে “পাতালঘর” নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করেছি।’

অভিনয় না করার জন্য তেমন একটা আফসোস অবশ্য মামুনুলের নেই। তবে আফসোস না থাকলেও অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা আছে। বিদেশের মাটিতে বসেও সেটা বুঝতে পারতেন। দেশে ফিরেও ক্যামেরার প্রতি টানটা অনুভব করেন। এখনো বাইরে বের হলে দর্শক তাঁর কথা এবং হাসি শুনে জানতে চান, ‘আপনি কি “চড়ুইভাতি”র নায়ক?’ তখন মামুনুলের মনে হয়, অভিনয়টা করলে মন্দ হতো না। তিনি বলেন, একজন অভিনেতা একবার যদি অভিনেতা হন, সারা জীবনই তিনি অভিনেতা।

মামুনুল হক ও তাঁর স্ত্রী হাবিবা রহমান
ছবি: মামুনুল হকের সৌজন্যে

দীর্ঘদিন পরে সম্প্রতি বিয়ে করে খবরে আসেন মামুনুল হক। তাঁর স্ত্রী হাবিবা রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। দুজনের কমন বন্ধুদের মাধ্যমে ২০১৬ সালে তাঁদের পরিচয়। আড্ডা, গালগল্পের মধ্য দিয়ে একে অন্যকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ ঘটে।