চিনতে পারছেন সেই রাশিকে
পশ্চিম বাংলার টেলিভিশন সিরিয়াল জি বাংলার ‘রাশি’কে মনে আছে? গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের আটপৌরে তরুণী। বিয়ের আগে ও পরে নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। সিরিয়ালে রাশির লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে যান দর্শক। ধারাবাহিকটি দুই বাংলায় বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
‘রাশি’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন গীতশ্রী রায়। এটিই তাঁর পর্দায় প্রথম কাজ। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, বন্ধুর পরামর্শে কলকাতার ভারত লক্ষ্মী স্টুডিওতে গিয়েছিলেন একদিন। অনেকটা হঠাৎ ‘রাশি’ সিরিয়ালের জন্য অডিশন দেন। সুযোগও পেয়ে যান। ধারাবাহিকটি শেষ হওয়ার পর গীতশ্রী রায়কে পর্দায় তেমন পাওয়া যায়নি।
মাঝে স্টার জলসার ‘দেবীপক্ষ’ অভিনয় করেছিলেন। তবে ‘রাশি’ যেভাবে দর্শকহৃদয়ে নিজের স্থান করে নিয়েছিল, ‘দেবীপক্ষ’ মোটেও সাড়া ফেলতে পারেনি। দর্শক মনে রেখেছেন ‘রাশি’কেই।
‘রাশি’ জনপ্রিয় হওয়ার পর পাল্টে যায় গীতশ্রীর জীবন। ফিটনেস এবং ফ্যাশন নিয়ে সচেতন হয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় রাশি তথা গীতশ্রী। বিশেষ করে লকডাউনে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ছবি দিচ্ছেন।
কখনো ঘুরতে যাওয়ার পুরোনো ছবি, কখনো সাম্প্রতিক সেলফি বা কলকাতা শহরে ঘুরতে যাওয়ার ছবি।
কখনো শাড়ি, কখনো খোলা পিঠে চমকে দিচ্ছেন। সিরিয়ালের সেই আটপৌরে মেয়েটির মিনি স্কার্ট আর জিনস—ইনস্টাগ্রামে বেশ সাড়া ফেলেছে। লাভ রিঅ্যাক্ট আর মন্তব্যের বন্যা। ‘রাশি’র এমন রূপান্তর ভক্তদের আনন্দ দিয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে, ফেসবুকে গীতশ্রীর শত শত ছবি। ছবিগুলো দেখে বুঝতে বাকি নেই, বিনোদন দুনিয়ার নবীন এ তারকা এই লকডাউনে নিজের সময়টা বেশ উপভোগ করছেন। রূপচর্চা যেমন করছেন, শরীরটাকেও ঠিকঠাক রাখছেন।
ছবিগুলো প্রমাণ দেয়, ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও তেমন কোনো ব্যাকরণ বা নিজস্বতা মানেন না তিনি। সাহসী বটে!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় রাশি তথা গীতশ্রী। বিশেষ করে লকডাউনে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ছবি দিচ্ছেন। কখনো ঘুরতে যাওয়ার পুরোনো ছবি, কখনো সাম্প্রতিক সেলফি বা কলকাতা শহরে ঘুরতে যাওয়ার ছবি
তবে গীতশ্রীর জিমে যাওয়া হয় না। তাঁর ভাষায়, আমার অভিধানে জিম’ শব্দটি নেই। শব্দটি আমার কাছে যমের মতো। তাহলে কীভাবে শরীরকে এভাবে ফিট রেখেছেন?
ভারতীয় গণমাধ্যম এশিয়ানেটকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত নাচি তাই আলাদা করে শরীর চর্চা করতে হয়নি।’ সেই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছেন, জিনস আর টি-শার্টেও স্বচ্ছন্দবোধ করলেও শাড়িই তাঁর প্রিয় পোশাক। নিজের আয়ের সিংহভাগ খরচ হয় শপিং আর বেড়ানোয়। মাসের শেষে বাবার কাছ থেকে হাত খরচ নিতে হয়।
ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি একটি ভিডিওতে গীতশ্রী জানিয়েছেন, মাধুরী দীক্ষিতের দারুণ ভক্ত। সেখানে তিনি বলেছেন, কৈশোরে স্বপ্ন দেখতেন, মাধুরীর মতো করে নাচবেন।
মাধুরী দীক্ষিতের নাচের মুদ্রা নকল করতেন তিনি। কৈশোরে তাঁর এই ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেন অভিভাবক। ভর্তি করে দেন নাচের স্কুলে। সেখানে তিনি শিখেছেন কত্থক, ভরতনাট্যম আর পাশ্চাত্যের নাচ।