চুমকির একের ভেতর তিন

নাজনীন হাসান চুমকি
নাজনীন হাসান চুমকি

তাঁর প্রথম পরিচয় অভিনয়শিল্পী। মাঝে-মধ্যে নাটক লেখেন এবং নির্মাণের কাজটিও করেন। কিন্তু নাটক লেখা, পরিচালনা এবং অভিনয়-তিনটি কাজ একসঙ্গে খুব একটা করা হয়ে ওঠেনি। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে নাজনীন হাসান চুমকি একবারই নাটক লেখা পরিচালনা এবং অভিনয়ের কাজটি একসঙ্গে করেছিলেন। বহুদিন পর আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি নিজের লেখা ‘সোনার ময়না পাখি’ নাটক পরিচালনার পাশাপাশি এতে অভিনয়ও করেন চুমকি। এরই মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে নাটকের শুটিং শেষ হয়েছে। চ্যানেল আইয়ের জন্য নির্মিত এই নাটকটিতে চুমকির সহশিল্পী সাঈদ বাবু।
চুমকি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমি খুব ভালো একজন গৃহিণী। একজন গৃহিণী যদি সংসারের সবকিছু সুন্দরভাবে সামলাতে পারে তাহলে সে তাঁর কর্মক্ষেত্রেরও সবকিছু সামলাতে পারে।’
চুমকি আরও বলেন, ‘নিজের লেখা নাটকের ডিরেকশন দিতে আমার জন্য খুব সুবিধা হয়। আমার মনে হয়, শুরুতেই কাজটার ৪০ ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু অভিনয়, নির্মাণ এবং লেখার কাজ একসঙ্গে করাটা বেশ কঠিন। এ ক্ষেত্রে অভিনয়টাতে খুব সমস্যা হয়। কারণ একজন অভিনয়শিল্পী হয়ে আমারও অন্য শিল্পীদের অভিনয়ের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দিতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে মনোযোগটা বরং আরও বাড়িয়ে দিতে হয়। কারণ আমার জন্য একটা দৃশ্যের কাজ শেষ করেই পরক্ষণে নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়। অভিনয়শিল্পী ও ইউনিটের সবার সঙ্গে আলোচনা করে সবকিছু ঠিকঠাক করতে হয়। এখন পর্যন্ত আমি দুটি নাটকে তিনটি ক্ষেত্রে কাজ মনে হয়েছে, বিষয়টি সত্যিই একরকম কঠিনই। আমার নিজেরও এই ধরনের কাজ করার ইচ্ছে নাই।’

১৯৯৯ সালে যেতে যেতে অবশেষে নাটকের মধ্য দিয়ে ছোটপর্দায় অভিষেক ঘটে চুমকির। নাটকটির পরিচালক ছিলেন অনন্ত হীরা। চুমকির লেখা, পরিচালিত এবং একইসঙ্গে অভিনীত প্রথম নাটকটি হচ্ছে পারিজাত।