দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল গোপনে বিয়ে করেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পারিবারিকভাবে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাঁর স্ত্রীর নাম শাম্মা দেওয়ান। সম্প্রতি তাঁদের বিয়ে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, পরকীয়া নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। এসব নিয়ে মুখ খুললেন এই অভিনেতা।
নানা রকম গুজবেও চুপ ছিলেন এই অভিনেতা। বৃহস্পতিবার বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে গভীর রাতে অপূর্ব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার ভক্ত, দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। শাম্মা দেওয়ান আমার স্ত্রী। তাঁকে নিয়েই আমার এ যাত্রা।’
অপূর্ব ও শাম্মার বিয়েকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, তিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে ‘বড় ছেলে’খ্যাত এই অভিনেতা লিখেছেন, ‘আমার এই নতুন জীবনের শুরুতে আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করেছে। কিন্তু আমার ও শাম্মার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কিছু অমূলক মন্তব্য আমার নজরে এসেছে, যা সম্পূর্ণরূপে অসত্য ও ভিত্তিহীন।’
অপূর্ব প্রথম বিয়ে করেন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে। ২০১০ সালের সেই বিয়ে ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। সে বছরই অপূর্ব দ্বিতীয় বিয়ে করেন নাজিয়া হাসান অদিতিকে। আট বছরের সংসারে আয়াশ নামের একটি ছেলে ছিল। হঠাৎ তাঁরা পারস্পরিক সমঝোতায় বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে অপূর্ব লিখেছেন, ‘আমার ও আয়াশের মায়ের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে ২০১৯ সালে। যদিও তা গণমাধ্যমে পরে প্রকাশিত হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবে আমরা এ বিষাদময় অধ্যায়ের পর সময় নিয়েছি, ভেবেছি এবং নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে আলাপেও গেছি। আমরা দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। আমরা একজন আরেকজনের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই আমাদের নিজেদের জীবনপথ বেছে নিয়েছি।’
এদিকে অপূর্বের সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী নাজিয়া হাসান ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘চার বছরের প্রেম সফল হলো। বেস্ট ইয়িশ ফর দা নিউলি ইয়িডেড’। মুহুর্তেই ছড়িয়ে পরে সেই স্ট্যাটাস। নাজিয়া পরে সেই স্ট্যাটাস ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু অনেকেই স্ক্রিনশটের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। বিয়ের পর এসব মন্তব্যের জবাবে অপূর্ব লিখেছেন, ‘তবে আমি খুবই দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি, আয়াশের মায়ের নতুন জীবনের সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই তাঁকে অপবাদ দিয়েছেন এই বলে যে, তিনি নাকি পরকীয়া করে বিয়ে করেছেন। আমি এটি নিশ্চিত করে বলতে চাই যে এ ধরনের তথ্য একেবারেই মিথ্যা। আমাদের সবাইকে আপনারা আপনাদের প্রার্থনা ও শুভকামনায় রাখবেন। ভালোবাসা রইল।’
দুই পরিবারের পছন্দে বিয়ে হয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই পারিবারিকভাবে কথাবার্তা চলছিল বলে বিয়ের আগের জানিয়েছিলেন অপূর্ব। পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন শাম্মা। যুক্তরাষ্ট্রেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। এখন সেখানকারই একটি গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের তিনি ব্র্যান্ড ম্যানেজার। বিয়ে উপলক্ষে সপ্তাহখানেক আগে ঢাকায় এসেছেন শাম্মা দেওয়ান।