মিতুর পর এবার মুখ খুললেন দেব
বেশ কিছুদিন ধরেই ‘কমান্ডো’ ছবিটি আর শেষ হবে না, এমন খবর দিয়ে আসছিল বাংলাদেশের কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল। ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যমেও এ খবর বেরিয়েছিল। এ খবরকে শ্রেফ গুজব বলে কয়েক দিন আগে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন ছবির নায়িকা জাহারা মিতু। এবার মুখ খুললেন ছবির নায়ক দেব। রোববার সকালে তাঁর ভেরিফায়েড টুইটারে লিখেছেন, ‘এখনই না, তবে শিগগির শুটিং শুরু হবে। সঙ্গে থাকুন।’
দেবের টুইটটির স্ক্রিনশট শেয়ার করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাহারা মিতু। লিখেছেন, ‘যাঁরা বলেছিলেন অনিশ্চিত “কমান্ডো”, স্ক্রিনশটটি তাঁদের জন্য।’ এ ব্যাপারে মিতু বলেন, ‘আগেই জানতাম, ছবির কাজ শেষ হবে। কিন্তু আগ বাড়িয়ে বলতে চাইনি। শুটিংয়ের জন্য ১ ডিসেম্বর থেকে টানা ২০ দিন আমার শিডিউল নেওয়া আছে। কিন্তু মাঝখানে ছবিটির শুটিং শেষ করা নিয়ে আমাদের কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। যাক, এখন তো সেই বিভ্রান্তি আর থাকল না। ছবির নায়ক দেব নিজেই টুইটারে ছবিটির শুটিংয়ের বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’
ছবির প্রযোজনা সূত্রে জানা গেছে ‘কমান্ডো’র প্রায় ৩০ ভাগ শুটিং শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ মাসে প্রথম ধাপের শুটিং হয়। দ্বিতীয় ধাপের শুটিং হয় ওই বছরের অক্টোবরে। এরপর করোনার কারণে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের লোকেশনে বাকি কাজ শেষ করবে। সোমবার ছবির পরবর্তী শুটিং পরিকল্পনা নিয়ে কলকাতায় দেব ও ছবির ভারতীয় কলাকুশলীদের সঙ্গে মিটিং করবেন ছবির প্রযোজক ও পরিচালক। এ বিষয়ে রোরবার সন্ধ্যায় ছবির পরিচালক শামীম আহমেদ রনি বলেন, ‘সোমবার সকালে কলকাতায় যাচ্ছি। বিকেলে ছবির পরবর্তী শুটিং শিডিউল নিয়ে ওখানকার কারিগরি টিম ও দেবের সঙ্গে মিটিং করব।’
এই পরিচালক বলেন ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে থাইল্যান্ডের লোকেশনে ছবির এক ধাপের শুটিং হবে। বাকি কাজ বাংলাদেশের লোকেশনে শেষ করা হবে। জানা গেছে, এরই মধ্যে করোনায় বন্ধ থাকা থাইল্যান্ড ভ্রমণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো শুটিংয়ের অনুমতি দেয়নি। এ ব্যাপারে পরিচালক বলেন, ‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যদি থাইল্যান্ডে শুটিংয়ের অনুমতি না মেলে, আমরা বিকল্প শুটিং লোকেশনে কাজ শেষ করব। এ জন্যই সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল মিটিংটা করা হচ্ছে। কারণ, ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা ছবির সব শুটিংয়ের কাজ শেষ করতে চাই।’
দেব ও মিতু ছাড়াও এই ছবিতে আরও অভিনয় করছেন কলকাতার রজতাভ দত্ত, বরুণ ব্যানার্জি, শান্তি লাল মুখার্জি, সদেব মুখার্জি, শিবা শানু (বাংলাদেশ) প্রমুখ।