যাঁর যাঁর প্রাপ্তি তাঁর তাঁর হোক
একটা সময় ছিল নাটক কিংবা সিনেমা পরিচালকের নামে চলত। দীর্ঘ সময় ধরে চিত্রটা উল্টো। এখন অভিনয়শিল্পীদের নামই আগে থাকে। নাটক বা সিনেমার পরিচালক যিনি, তিনি থাকেন আড়ালে। এ রকম চর্চা নাটক–সিনেমার শুভ হবে না বলে মত দিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে চঞ্চল লিখেছেন, যাঁর যাঁর প্রাপ্তি তাঁর তাঁর হোক, নাম বেচা বন্ধ হোক।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের উপলব্ধি ফেসবুকে লিখেও প্রকাশ করেন চঞ্চল চৌধুরী।
আজ তিনি লিখেছেন, ‘একটা সময় পর্দায় লেখা হতো, সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী বা হুমায়ূন আহমেদের শঙ্খনীল কারাগার বা মামুনুর রশীদের অমুক নাটক বা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ডুব। সালাউদ্দিন লাভলুর নাটক ব্লা ব্লা ব্লা—এ রকম মেনে নিতে আপত্তি নেই, কারণ যার লেখা, তারই ডিরেকশন হলে এটা লেখা যায়। কিন্তু ইদানীং দেখি, দেশি-বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে শিল্পীর নামে লেখা হয়, অমুকের নাটক বা ওয়েব সিরিজ। যেহেতু শিল্পীদেরই দর্শকেরা বেশি চেনেন, সেই ব্যবসায়িক সুযোগটা নেওয়ার জন্য এ রকম লেখা হচ্ছে।’
চঞ্চল তাঁর লেখায় একটি প্রশ্নও রেখে যান, এমন যদি হয় তাহলে এবার বলুন তো, একটি নাটক বা সিনেমার মালিকানা কার? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আসলে প্রডিউসারের। প্রচারের স্বার্থে যদি ডিরেক্টরের নাম যায়, তা–ও মেনে নেওয়া যায়। যেমন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের মনপুরা বা অমিতাভ রেজার আয়নাবাজি। কিন্তু যদি লেখা হয় চঞ্চল চৌধুরীর তাকদীর—আমি বলব এটা ঠিক নয়। তাকদীর সৈয়দ শাওকীর বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হইচইয়ের। আমি এতে অভিনয় করেছি মাত্র। তারপরও লিখলে এটুকুই লিখবেন, চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত তাকদীর। আর স্ক্রিপ্ট রাইটারদের কথা কী বলব, তাঁরা তো সর্বদা অবহেলিত। স্টারের নাম ভাঙিয়ে প্রডাকশন বিক্রি বা প্রচার বন্ধ হোক। নাটক বা সিনেমা টিমওয়ার্ক, এটা মনে রাখলেই চলবে।’