২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট সুইটির জীবনের স্মরণীয় দিন

বুঝতে শেখার পর থেকে আইনজীবী হতে চেয়েছেন তানভীন সুইটি
ছবি: সংগৃহীত

বুঝতে শেখার পর থেকে আইনজীবী হতে চেয়েছেন তানভীন সুইটি। কিন্তু হঠাৎই মডেলিং শুরু করেন। তারপর মঞ্চনাটক হয়ে একসময় নিয়মিত টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন। আজ ৩০ আগস্ট এই অভিনেত্রীর জন্মদিন।

সুইটি বলেন, ‘জন্মদিনের চার-পাঁচ দিন আগে থেকে ফোন করে খোঁজখবর নেন। বাসায় আসেন, অনেকেই আমার জন্য পরিকল্পনা করেন। জানি না তারা কেন আমাকে পছন্দ করেন। কিন্তু সবার এই ভালোবাসা দিন দিন বাড়ছে। এই ভালোবাসা আমার জীবনের বড় একটি প্রেরণা। মাঝেমধ্যে চিন্তা করি, এত ভালোবাসার আমি যোগ্য নই।’

গতকাল রাতেই যেমন সহকর্মী দীপা খন্দকার ও তাঁর ছেলেমেয়েরা সারপ্রাইজ দিয়েছেন
ছবি: ফেসবুক

জন্মদিন নিয়ে এখন নিজে আর তেমন কোনো পরিকল্পনা করেন না। গতকাল রাতেই যেমন সহকর্মী দীপা খন্দকার ও তাঁর ছেলেমেয়েরা সারপ্রাইজ দিয়েছেন। রাতেই ‘গুলশান অ্যাভিনিউ’ ধারাবাহিকের সেটে কেক কাটা হয়েছে। ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’র অভিনয়শিল্পীদের খোঁজখবর নিতে আজ কিছুক্ষণ পর বের হবেন। সন্ধ্যার পর তাঁকে ঘিরে ঘরোয়া আয়োজন রয়েছে। এসবের মধ্য দিয়েই দিনটি কেটে যাবে।

জন্মদিনটিতে ঘুরেফিরে আসে অতীত স্মৃতি। কখনো সবার আগে কেক খাওয়া বা জন্মদিনের উপহারের স্মৃতি মুখে হাসি ফোটায়। কিছু ঘটনা কখনো মন ভারী করে দেয়। ‘আগে মা–বাবার সঙ্গে দেখা করতে যেতে হতো। মা কত রকম খাবার তৈরি করতেন! বাবা কত কী উপহার দিতেন! তাঁরা এখন নেই। তাঁদের জন্য মনটা খুবই খারাপ হয়ে থাকে। তাঁদের ভীষণ মিস করি’—বলেন তানভীন সুইটি

২০০৪ সালের জন্মদিনটা যেমন খুব স্মরণীয়
ছবি: সংগৃহীত

২০০৪ সালের জন্মদিনটা যেমন খুব স্মরণীয়। সেবার লন্ডন থেকে হঠাৎই দুবাই চলে যান। সেখানে কিছুদিন থেকে ঢাকায় ফেরার কথা। এর মধ্যে জন্মদিন চলে এল। সঙ্গে তাঁর আপা ছিলেন। তাঁকে নিয়েই কেক কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন সময় কলিং বেলের আওয়াজ। দরজা খুলেই সুইটি অবাক। অনেক উপহার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন রিপন তাহসিন, তাঁর স্বামী। সুইটি বলেন, ‘মনে হলো আকাশ থেকে পড়লাম। সেই মুহূর্তটা বলে বোঝাতে পারব না। শুধু আমাকে সারপ্রাইজ দিতে ঢাকা থেকে সেদিন দুবাই এসেছিল রিপন। দিনটি আমি কখনো ভুলতে পারি না।’

২৬ বছরের অভিনয়জীবন তানভীন সুইটির
ছবি: সংগৃহীত

অভিনয়ের পাশাপাশি এখন রাজনীতিতেও যুক্ত এই অভিনেত্রী। রাজনীতিতে তাঁর হঠাৎ আসা নয়। পড়াশোনার সময় থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ছিলেন ক্লাস ক্যাপটেন। অভিনয়ে আসার পর সহকর্মীরা তাঁকে ডাক্তার বলে ডাকতেন। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সবাই ভাবত চুপচাপ একটি মেয়ে। কিন্তু শুটিংয়ে কারও কিছু হলেই বলতাম, এটা খা, সেটা কর, এই ওষুধ খেয়ে রেস্ট নে, এসব কারণেই তারা আমাকে দেখলেই বলত, ওই যে ডাক্তার এসেছেন। একইভাবে পড়ার সময়ও সহপাঠীদের পাশে দাঁড়াতাম। খুব সচেতন ছিলাম।’

ভবিষ্যতে কি পার্লামেন্টের নির্বাচন করার পরিকল্পনা আছে? এমন প্রশ্ন সুইটি বলেন, ‘সেটা দল দেখবেন। এমপি না হয়েও মানুষের জন্য অনেক কিছু করা যায়। আমি সব সময় সেই চেষ্টাই করি। যেকোনো অবস্থা থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারাটাই মানুষের জন্য বড় ভালোবাসা।’

অভিনয়ের পাশাপাশি এখন রাজনীতিতেও যুক্ত এই অভিনেত্রী
ছবি: ফেসবুক