'দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর চরিত্রে কাজ করা কঠিন!'

‘দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর চরিত্রে কাজ করা কঠিন।’ ছোট্ট করে জবাব দিলেন সানজিদা প্রীতি। প্রশ্ন ছিল, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মেয়ের চরিত্রে কাজ করে কেমন লেগেছে? প্রশ্নের চেয়ে উত্তরের শব্দের সংখ্যা কম। তবে পরে যোগ করলেন, ‘অন্ধের চেয়ে পাগলের চরিত্রে অভিনয় করা সহজ। কারণ, পাগল হলে যা খুশি তা-ই করা যায়। ইচ্ছেমতো অভিনয় করা যায়।’ মুঠোফোনের ওপাশ থেকে কথা বলছেন সানজিদা প্রীতি। আলাপের বিষয় খোলসবন্দী নাটকে অন্ধ মেয়ের চরিত্রে অভিনয়। কথা প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখলেন, এর আগেও তিনি এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সেটা অবশ্য রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিদান নাটক। এবারেরটা লিখেছেন মাসুদ হাসান। পরিচালনা করেছেন আহসানুল হাসান। তাঁর সঙ্গে সহশিল্পী ছিলেন নিলয়, মাশিয়াতসহ অনেকেই। সানজিদা প্রীতি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মেয়ের চরিত্রে অভিনয়ে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে জানিয়ে রাখলেন, ‘এটা কঠিন, কারণ সহশিল্পীর অভিনয় দেখার সুযোগ কম। শুধু অভিব্যক্তি দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে হয় নিজের অভিনয়।’ তবে সব মিলিয়ে খোলসবন্দী নাটকের কাজটি অনেক ভালো হয়েছে বলে জানালেন তিনি। নাটকটি প্রচারিত হবে ঈদের অনুষ্ঠানমালায় এসএ টিভিতে।
সব ধরনের চরিত্রের প্রতিই আগ্রহ আছে এই অভিনেত্রীর। সানজিদা প্রীতি বললেন, ‘যেকোনো চরিত্রে আমি আনন্দ নিয়ে কাজ করি। চেষ্টা করি চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে।’ এ কারণেই তিনটি ধারাবাহিকে তিন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর অভিনীত তিনটি ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে তিনটি চ্যানেলে।