পাঁচ নদীর মোহনায় এবারের ‘ইত্যাদি’র শুটিং, প্রচার শুক্রবার

‘ইত্যাদি’র এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে ঝালকাঠিতে। ঝালকাঠির ধানসিড়ি, সুগন্ধা, বিষখালী,  গাবখান, বাসন্ডা—এই পাঁচ নদীর মোহনায় মঞ্চ নির্মাণ করে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্বটি ধারণ করা হয়েছে।
আগামী শুক্রবার রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে। ‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। এবারের পর্বে জন্ম ও মৃত্যু নিয়ে একটি দ্বৈত সংগীত গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী ও শফি মণ্ডল। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি। ঝালকাঠির নদী ও গৌরবগাথা নিয়ে একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর নাচের পরিবেশনা রয়েছে। গানটির কথা লিখেছেন গীতিকবি মনিরুজ্জামান পলাশ, সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি, নৃত্য পরিচালনা করেছেন দেবাশীষ সেনগুপ্ত।

ঝালকাঠির ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দর্শনীয় স্থান, নদী-খাল-চ্যানেল, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য এবং কীর্তিমান ব্যক্তিদের ওপর কয়েকটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন থাকছে। আঘাতজনিত কিংবা বিকলাঙ্গ রোগীদের ব্যতিক্রমধর্মী ইলিজারভ চিকিৎসাপদ্ধতির ওপর রয়েছে একটি প্রতিবেদন। অজানা-অচেনা ও দূরদূরান্তের পথিকদের জন্য নীলফামারীর এক ব্যক্তির নির্মিত একটি মুসাফিরখানার ওপর রয়েছে একটি প্রতিবেদন। ‘ইত্যাদি’তেই প্রথম শুরু হয় বিদেশি প্রতিবেদন শিরোনামে বিশ্বের বিস্ময়কর বিষয় ও স্থানের ওপর প্রতিবেদন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বে রয়েছে আমেরিকার মিনেসোটা রাজ্যের ওপর একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন।

ঝালকাঠির মঞ্চে এবার নাতি ও ভাগনেকে দেখা গেলেও দেখা যায়নি নানি ও মামাকে। সাথিহারা নাতি এবং মামা ছাড়া ভাগনে কী করেছে এবারের ‘ইত্যাদি’তে, দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে অনুষ্ঠান প্রচারের দিন পর্যন্ত। সুস্থ ধারাকে অসুস্থ করার প্রতিযোগিতা, চিত্ত প্রশান্তির প্রত্যাশা, শাড়ি নিয়ে সাংসারিক দ্বন্দ্ব, হৃদয়ছোঁয়া শিল্পী বনাম তালি ভিক্ষা চাওয়া শিল্পী, জন্মদিনে শোক পালন, প্রচারলোভী ডিজিটাল নেতা, উপেক্ষিত জনতার পক্ষে ক্ষোভসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর রয়েছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ।

এবারের ‘ইত্যাদি’তে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, জিয়াউল হাসান, সুভাশিষ ভৌমিক, বড়দা মিঠু, কামাল বায়েজিদ, আবু হেনা রনি, জিল্লুর রহমান, আমিন আজাদ, মামুনুল হক, বিলু বড়ুয়া, জাহিদ শিকদার, আনোয়ার শাহী, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, সাবরিনা নিসা, জামিল হোসেন, লাভলী ইয়াসমিন, আনোয়ারুল আলম, সাজ্জাদ সাজু, সিলভিয়া কুইয়া, মোনালিসা দীপা, সুবর্ণা মজুমদার, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ বারী, জাহিদ চৌধুরী, হৃদয় আল মিরু, দেবাশিষ মিঠু, সোহাগ আনসারীসহ অনেকে। বরাবরের মতো এবারও ‘ইত্যাদি’র শিল্পনির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পনির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার। পরিচালকের সহকারী হিসেবে ছিলেন রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন।