খুব কথা বলতে ইচ্ছা করছিল: সাবিলা

নাটকের একটি দৃশ্যে সাবিলা নূর। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে

নাটকে সংলাপ থাকবে সেটাই ছিল অভিনেত্রী সাবিলা নূরের জন্য স্বাভাবিক ঘটনা। শুটিংয়ের আগেই চিত্রনাট্য মুখস্থ করে প্রস্তুতি নেওয়া ছিল তাঁর জন্য নিয়মিত নিয়ম। সেখানে এবারই প্রথম তাঁকে দেখা যাবে সংলাপহীন কোনো চরিত্রে। অভিনীত চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে মনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। নাটকের নাম ‘ময়ূরপুচ্ছ কাক’। নাটকে অসুস্থ এক মানসিক রোগীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

চিত্রনাট্য হাতে পাওয়ার পর থেকে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এই অভিনেত্রী। সংলাপ ছাড়া চরিত্রটি কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারবেন, সেটাই বারবার ভাবছিলেন।

অভিনেত্রী সাবিলা নূর। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

তিনি জানান, মানবিক একটি গল্প। একটি দুর্ঘটনা এক নারীর জীবনটাই বদলে দেয়। তারপর নানা টানাপোড়েনে এগিয়ে চলে নাটকের গল্প। স্বামী–স্ত্রীর অন্য রকম সম্পর্ককে এখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। নাটকের ঘটনাগুলো কোনো কথা না বলে শুধু অভিব্যক্তি দিয়ে প্রকাশ করাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সাবিলা নূর বলেন, ‘শুটিংয়ের সময় চরিত্রের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রবেশ করেছিলাম। শুটিংয়ের সময় সহিংসতার এমন কিছু জায়গা ছিল, সেখানে মুখে ফুটে কথা বের হতে চাচ্ছিল।

সাবিলা নূর। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

মনে হচ্ছিল, কথা বলি। কথা বলার জন্য হাঁসফাঁস করছিলাম। শুটিংয়ের পর এই অভিজ্ঞতা নাটকের পরিচালক, সহ–অভিনেতা মনোজের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছি। পুরো গল্পে স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্কের ভিন্ন একটি দিক তুলে ধরা হয়েছে।’ সাবিলা এর আগে শিহাব শাহীনের ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’ নাটকে বোবা চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

নাটকটি পরিচালনা করেছেন মুরসালিন শুভ। তিনি বলেন, ‘সমাজে বিভিন্ন ঘটনায় প্রায়ই দেখা যায়, নারীরা নানাভাবে সহিংসতার শিকার। সামাজিক বার্তা বহন করে, এমন গল্পগুলো আমি সব সময় বলতে চাই। আর পরিচালক হিসেবে পোস্টপ্রোডাকশন শেষে মনে হয়েছে আমাদের হাতে যেসব রিসোর্স ছিল, আমরা তার যথাযথ ব্যবহার করতে পেরেছি। অনেক ক্ষেত্রে সময়স্বল্পতা বা অন্য কোনো জটিলতার জন্য আমরা যেভাবে দৃশ্যায়নের কথা ভাবি, তা ধারণ করতে পারি না। সেখানে এই নাটকে সময় নিয়ে কাজ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ঈদে দর্শক ভিন্ন একটি গল্প পাবে।’ এটি ঈদে দীপ্ত টেলিভিশনে প্রচারিত হবে।

নাটকটি পরিচালনা করেছেন মুরসালিন শুভ। ছবি: ফেসবুক