অভিনয় করতে এসেই ঝগড়া শিখেছি: সাফা

সাফা কবিরকবির হোসেন

একসময় শুটিংয়ে এসে চুপচাপ থাকতেন। খুব একটা কথা বলতেন না। দীর্ঘদিনের অভ্যাস বলে কথা। তাই শুটিং শুরুর দিনগুলো অভিনেত্রী সাফা কবিরের জন্য কিছুটা কঠিন হয়ে যায়। কারণ, ক্যামেরার সামনে তাঁকে প্রায়ই জোরে, উচ্চ স্বরে কথা বলতে হতো। কিন্তু জোরে কথা বলাটা হয়ে উঠত না।

আরও পড়ুন

এ জন্য ঝগড়া, রাগের দৃশ্যগুলোর জন্য পরিচালকের কাছ থেকে কথাও শুনতে হতো। অভিনয় করতে এসে ঝগড়ার দৃশ্যের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এখন নাকি প্রশংসা পাচ্ছেন।

সম্প্রতি সাফা কবির অভিনীত ‘আফসোস’ নাটক মুক্তি পেয়েছে। রাতুল ও মোনালিসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।

‘আফসোস’ নাটকের দৃশ্য। ছবি : সাফা কবিরের সৌজন্যে

টিএসসিতে একটি আবৃত্তি সংগঠনে শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ কোর্স করতে গিয়ে দুজনের মধ্যে পরিচয় হয়। উচ্চারণ ক্লাসে দুজনের মধ্যে দা-কুমড়ার সম্পর্ক দেখা যায়। একপর্যায়ে তাদের ঝগড়া করতে হয়। সেই ঝগড়া দেখে নাকি সাফাকে ভক্তরা কেউ কেউ পাকা ঝগড়াটে বলছেন। অভিনয়ে নাকি একবারেই মানিয়ে গিয়েছেন।

এমন ঝগড়া কোত্থেকে শিখেছেন জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ঝগড়া কী, এটা আমার জানাই ছিল না। বন্ধুদের মধ্যেও কখনো কথা–কাটাকাটি হওয়া বা জোরে শব্দ করে কথা বলতাম না। প্রথম আমি শুটিংয়ে গিয়ে দৃশ্যের প্রয়োজনে ঝগড়া শিখি। অনেক সময় এত জোরে কথা বলতাম যে নিজেই ভয় পেয়ে যেতাম। রাগের সিনগুলোয় এভাবেই কথা বলতে হতো। অভিনয় করতে এসেই ঝগড়া শিখেছি।’

‘আফসোস’ নাটকের দৃশ্য। ছবি : সাফা কবিরের সৌজন্যে

সাফা বলেন, ‘নাটকটির গল্প দেখে ভক্তরা খুবই প্রশংসা করছেন। এখন তো এমন গল্পের নাটক কম হয়। যেখানে গল্পের সঙ্গে ভক্তরা নিজেদের কানেক্ট করতে পারেন। একদমই যেন মোনালিসা চরিত্রে মিশে গেছি, এমন নাটকের জন্য অনেকে অপেক্ষা করছিলেন। সেটাই বলছেন অনেক ভক্ত। নতুন বছরের শুরুটা নিয়ে আমি দারুণ খুশি। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া পাচ্ছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে গল্প বাস্তব মনে হওয়ার অন্যতম কারণ এটি পরিচালক সেরনিয়াবাত শাওন ভাইয়ের ক্যাম্পাসে দেখা অনেক গল্পের সমন্বয়ে চিত্রনাট্য তৈরি করা।’

নাটকটি নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে সাফা কবির বলেন, ‘হঠাৎ আমার বাবা বলছেন, “ফেসবুক দেখলাম, অনেক পোস্টে লেখা তোমার আফসোস। তোমার ‘আফসোস’ নামের একটি নাটকের অনেক পোস্ট দেখলাম।

‘আফসোস’ নাটকের দৃশ্য। ছবি : সাফা কবিরের সৌজন্যে

তো তোমার এত কিসের আফসোস?” বাবার কাছে এ কথা শুনে বললাম, আমার আফসোস, আমার বাবা এখনো নাটকটি দেখেননি। তখন অবাক করে বাবা বললেন, “আমার আফসোস, আমার মেয়ে জানেই না তাঁর অভিনীত কাজগুলো বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি দেখি।” বাবা–মেয়ের মজার এই কনভার্সেশনটা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ ‘আফসোস’ নাটকটি রঙ্গন এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে ভক্তরা দেখতে পারবেন।