তিরিশ বছর পার হয়ে গেল একসঙ্গে আছি....

তিন দশক আগে বিয়ে করেন আফজাল হোসেন। অভিনয়শিল্পী, চিত্রকর, নির্মাতা ও লেখক—বহুগুণে গুণান্বিত এই শিল্পীর স্ত্রী তাজিন হালিম একসঙ্গে পথচলার শুরু থেকেই নানাভাবে জড়িয়ে আছেন এই অভিনেতার জীবনে। সংসার, সন্তানদের সামলানো থেকে শুরু করে স্ত্রী পরিবারের সব দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বিয়ের সময় এবং পরের কয়েকটি ছবিতে দেখে নেওয়া যাক গুণী এই অভিনেতা ও নির্দেশকের পরিবারকে
১ / ৯
বরের সাজে আফজাল হোসেন। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সাতক্ষীরার পারুলিয়াতে জন্মগ্রহণ করা আফজাল হোসেন ১৯৯২ সালের ৮ আগস্ট তাজিন হালিম মনাকে বিয়ে করেন
ছবি : সংগৃহীত
২ / ৯
কনের বেশে আফজাল হোসেনের স্ত্রী তাজিন হালিম। অভিনয় এবং অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে সংসারে সময় দিতে পারেননি আফজাল হোসেন, অকপটে তা স্বীকারও করেছেন। তিনি তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, তিরিশ বছর পার হয়ে গেল একসঙ্গে আছি। যথার্থ শোনায়, তার সংসারে তার সঙ্গে বাস করি বললে। তিরিশ বছর কেটেছে। আমাদের সন্তানদের জন্ম তারিখ বলতে পারব, কার কত বয়স হলো বলতে গেলে হিসাবে বসতে হবে। তার চেয়ে সহজ মনাকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নেওয়া। আরাফ ও বউ দেশের বাইরে থাকে। মনা তাদের প্রায় রোজকার খবর বলতে পারবে। ঈমানের স্কুলের বেতন কত, আমার জানা নেই। আমি জানি না মাসের বাজার খরচ, চালের দাম, লবণ কত টাকা কেজি। জানা নেই রান্নাঘরের চুলো জ্বলছে কি না, বেসিনে পানি আটকে গেছে বা ঘরে বৈদ্যুতিক কোনো সমস্যা হলে কোনোটার জন্য কাকে ফোন করতে হবে।
ছবি : সংগৃহীত
৩ / ৯
দুই পুত্রসন্তান আরাফ আফজাল ও ঈমান আফজালের সঙ্গে আফজাল হোসেন ও তাজিন হালিম মনা
ছবি : সংগৃহীত
৪ / ৯
চিরসবুজ তারকা হিসেবে আফজাল হোসেন খ্যাত। ১৯৫৪ সালের ১৯ জুলাই সাতক্ষীরার পারুলিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পড়েছিলেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি থিয়েটারে অভিনয় শুরু। পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত হন। অসংখ্য জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৮০–এর দশকে বাংলাদেশের নাটকে সুবর্ণা-আফজাল জুটি বিশেষ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। অভিনয় করেন ‘দুই জীবন’, ‘নতুন বউ’ ও ‘পালাবি কোথায়’–এর মতো সিনেমায়। ১৯৮৪ সালে তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণে যুক্ত হন। এ ছাড়া নাটক পরিচালনায়ও নিয়মিত পাওয়া যায় তাঁকে। লেখালেখিতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বেশ কিছু বই-ও
ছবি : সংগৃহীত
৫ / ৯
চিরসবুজ তারকা হিসেবে আফজাল হোসেন খ্যাত। ১৯৫৪ সালের ১৯ জুলাই সাতক্ষীরার পারুলিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পড়েছিলেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি থিয়েটারে অভিনয় শুরু। পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত হন। অসংখ্য জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৮০–এর দশকে বাংলাদেশের নাটকে সুবর্ণা-আফজাল জুটি বিশেষ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। অভিনয় করেন ‘দুই জীবন’, ‘নতুন বউ’ ও ‘পালাবি কোথায়’–এর মতো সিনেমায়। ১৯৮৪ সালে তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণে যুক্ত হন। এ ছাড়া নাটক পরিচালনায়ও নিয়মিত পাওয়া যায় তাঁকে। লেখালেখিতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বেশ কিছু বই-ও
ছবি : সংগৃহীত
৬ / ৯
সময় সুযোগ হলেই বেড়াতে বের হন আফজাল হোসেন। ছবি তোলা তাঁর অন্যতম একটা শখ। বেড়াতে গেলে ছবি তোলার ব্যাপারটা দারুণভাবে লক্ষ করা যায়। তাঁর তোলা কিছু ছবি এখন তাই ফেসবুক ওয়ালেও দেখা যায়
ছবি : সংগৃহীত
৭ / ৯
আসল হেমা মালিনীর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে ইউনিভার্সেল স্টুডিওতে নকল মেরিলিন মনরোর পাশে আফজাল হোসেন ও তাজিন হালিম
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
৮ / ৯
জীবনসঙ্গী তাজিন হালিমকে নিয়ে আফজাল হোসেন বললেন, জীবনে ভালো কিছু করেছি। মনা সেই পুণ্যেরই ফল। অনেক বছর ছবি আঁকিনি। আঁকাআঁকিতে আবার ফিরতে পারব, মনে হতো না। মনার বিশ্বাস অটুট ছিল। পারব। বছরের পর বছর আমাদের পুরো বাড়ির সব ঘরের দেয়াল সে ফাঁকা রেখে দেয়। বলেছিল, ফাঁকাই থাকুক। নিজের আঁকা ছবি ঝুলানোর আগে কারও ছবি দিয়ে ঘর সাজানো যাবে না। সেই নিঃশব্দ জোর খাটানোর ফলাফল, এখন ঘরের দেয়াল ফাঁকা নেই
ছবি : প্রথম আলো
৯ / ৯
গত বছরের বিবাহবার্ষিকীতে আফজাল হোসেন তাঁর স্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘জগৎ ও জীবন শেখার জন্য। রোজ আমি তার (তাজিন হালিম) কাছ থেকে শিখি। ঘরের ধুলো পরিষ্কার আর জলরঙে ছবি আঁকা—দুটোতেই নিবেদন লাগে। একই রকম মনোযোগ, নিষ্ঠা লাগে। এক শ রকম ঘটনার মধ্যে থেকেও নিজের জলরঙের ছবি কীভাবে আরও ভালো করা যায়, সে জন্য মনা যখন ইউটিউবে বিশ্বখ্যাত জলরং শিল্পীদের অনুশীলন দেখে, যেভাবে দেখে অবাক হই। ভাবি, নিজে শিল্পী হতে চেয়েছি, তবে এতটা মনোযোগী কি কখনো হতে পেরেছি? সৃষ্টিকর্তা আমাদের ভালো রেখেছেন, রাখবেন—এই আশা। আরও আশা, আমরা উভয়ের জন্য উভয়েই যেন আরও কিছুকাল সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারি। শুভ বিবাহবার্ষিকী মনা।’
ছবি : সংগৃহীত