প্রথমবার জুনায়েদ বোগদাদী ও ইভানা

জুনায়েদ বোগদাদী ও পারসা ইভানা। নির্মাতার সৌজন্যে

চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো সেরা নাচিয়ে দিয়ে বিনোদন অঙ্গনে পথচলা শুরু পারসা ইভানার। ২০১৪ সালে এ রিয়েলিটি শোতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অভিনয়ে মনোযোগী হন তিনি। তবে বেছে বেছে কাজ করে এখন আলোচনায়। ইভানার ভাষায়, তিনি এখন আগের চেয়ে ম্যাচিউর। আর এ ম্যাচিউরিটি এসেছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অভিনয় শুরুর পর।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে তরুণ অভিনয়শিল্পী ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। এবার পারসা ইভানা ও জুনায়েদ বোগদাদীকে একত্রে দেখা যাবে। দুজনে ‘রাজকুমার ও অপ্সরী’ নামের একটি টেলিছবিতে অভিনয় করছেন। চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত এই টেলিছবির শুটিং গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে।

ফারিয়া হোসেনের লেখা বিশেষ এই টেলিছবি ঈদে চ্যানেল আইয়ের পর্দায় প্রচারিত হবে। এরপর এটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে দেখানো হবে। গল্প প্রসঙ্গে চয়নিকা জানান, এক দম্পতির গল্পে নির্মিত হচ্ছে ‘রাজকুমার ও অপ্সরী’।

জুনায়েদ বোগদাদী ও পারসা ইভানা। নির্মাতার সৌজন্যে

সংসারজীবনে অহংকার একটা প্রতিকূলতা হয়ে দাঁড়ায়। আর স্বামী–স্ত্রী যদি একই কর্মস্থলে কর্মরত থাকেন, তাহলে পদে পদে অহংকার ও আত্মমর্যাদার দ্বন্দ্ব তৈরি হতে থাকে। এ সমস্যা এবং একটি ভালোবাসার গল্প নিয়ে মূলত এই টেলিছবি তৈরি হয়েছে।

ইভানা বলেন, ‘জুনায়েদের সঙ্গে প্রথম কাজ হচ্ছে। গল্পটাও মজার মনে হয়েছে। যেহেতু আমি একজন পেশাদার শিল্পী, তাই নতুন শিল্পী ও নির্মাতাদের সঙ্গে ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে আমি কাজ করব, যেটা পছন্দমতো করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
নাটকের পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী চলচ্চিত্রও বানিয়েছেন। ‘বিশ্বসুন্দরী’ নামের সেই চলচ্চিত্র একাধিক বিভাগে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে।

চয়নিকা বলেন, ‘জুনায়েদের কিছু কাজ দেখে তার অভিনয় ভালো লেগেছে। পারসা ইভানার “শেষমেষ” নাটকে নাচ দেখে মুগ্ধ হই। তখন মনে হয়, এই দুজনকে নিয়ে কাজ করলে চমৎকার জুটি প্রতিষ্ঠা পেতে পারে। তারা দুজনেই সময়মতো শুটিংয়ে এসেছে। মহড়া করে চমৎকার অভিনয়ের চেষ্টা করছে। এ চেষ্টাটা অনেক প্রশংসনীয়। আমার ইচ্ছা আছে, আগামী দিনে জুনায়েদ ও ইভানাকে নিয়ে আরও কাজ করব।’

জুনায়েদ বোগদাদী ও পারসা ইভানা। নির্মাতার সৌজন্যে

চয়নিকা চৌধুরী মনে করেন, মানুষের সুন্দরভাবে জীবনযাপনে ভালোবাসা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘প্রয়াত মোস্তফা কামাল সৈয়দ আমাকে সব সময় বলতেন, পর্দায় ইতিবাচক বিষয় দেখাতে এবং সেটা দেখে যেন মানুষ তার জীবনে কিছু কাজে লাগাতে পারে, তাই দেখাবা। আমার স্কুলিংটা এভাবে। চারদিকে ভিউয়ের ছড়াছড়ি, যদিও ভিউ জিনিস আমাকে টানে না, আমার সিগনেচারটাও নষ্ট করব না।’