আপনাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না...
একটু ব্যস্ত ছিলাম। একটি শোয়ে ছিলাম। এখন সময় বের করেছি।
প্রথম আলো :
এবারই প্রথম মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন, দর্শকেরা কী বলছেন?
আমাদের একসঙ্গে প্রথম কাজ। আমি একটু চিন্তিত ছিলাম। দর্শক আমাদের কীভাবে নেয়, এটা ভেবে। কারণ, আমাদের আরেক কো-আটিস্টের সঙ্গে জুটি আছে—খায়রুল বাসার ও তৌসিফ ভাই। পরে দেখলাম দর্শক প্রথম নাটকেই আমাদের প্রশংসা করছে।
দর্শকদের কাছ থেকে বিশেষ কোনো মন্তব্য পেয়েছেন?
এই গল্পে আমার চরিত্রের মধ্যে একটু ‘বউ বউ’ ব্যাপার ছিল। ভক্তদের অনেকে লিখেছে, ‘সাদিয়া আয়মানের মতো বউ চাই।’ ভক্তরা আমার মতো বউয়ের স্বপ্ন দেখছে। দর্শকদের নানা প্রতিক্রিয়া ভালো লাগে।
প্রথম আলো :
ইউটিউব ট্রেন্ডিং নিয়ে কী ভাবেন?
আমি আজই (গতকাল) জানলাম, আমাদের নাটকটি ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে রয়েছে। তবে ভিউ নিয়ে মাথা ঘামাই না। এটা ভক্তদের ভালোবাসা। কারণ, আমি গুণগত মানকে গুরুত্ব দিয়ে অভিনয় করি। নাটকের গল্প, অভিনয় আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এ নাটকটি আসলে প্রেমের গল্প না। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ নিয়েই এর গল্প। প্রেম হওয়ার আগেই গল্প শেষ। সেটা দর্শক পছন্দ করছে, ভালো লাগছে।
প্রথম আলো :
আপনি বললেন ভিউ নিয়ে মাথা ঘামান না। কিন্তু অনেক প্রযোজকই ভিউকে প্রাধান্য দিচ্ছেন...
ভালো গল্প, ভালো অভিনয় হলে এমনিতেই সেটা দর্শকদের কাছে যাবে। যারা বিনিয়োগ করছে, ভিউ হলে তাঁরা টাকা ফিরে পারেন। এখন আমি তো এমন আর্টিস্ট না যে আমার নাটকের ভিউ এক মিলিয়ন হবে না। আমার কোনো কাজ এক মিলিয়নের নিচে নেই। তবে তাদের মানসম্মত কনটেন্টেরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এখন আমি এমন কনটেন্টে কাজ করলাম ২০–৩০ মিলিয়ন ভিউ হলো ঠিকই কিন্তু সমালোচনাই বেশি হলো। তখন আমাদের লজ্জায় পড়তে হলো। তখন শুনতে হবে আপনি এই কাজ কেন করেছেন?
কিন্তু অনেকেই ভিউয়ে এগিয়ে থাকার প্রতিযোগিতা করছে। সে কাজগুলো নিয়ে আপনাকে কথা শুনতে হয়?
আমার কিন্তু ১০টি কাজের মধ্যে একটি কাজ খারাপ আছে। এটা থাকতেই পারে। কিন্তু আমি কখনোই ভিউ নিয়ে প্রতিযোগিতা করি না। এখন যার যা পছন্দ। আমার মাসে তিন থেকে চারটি কাজ হলেই যথেষ্ট। কিন্তু ভিউ নিয়ে প্রতিযোগিতায় আমি যাই না। দায়িত্ব নিয়ে নিজের কাজ করি।
প্রথম আলো :
অল্প সময়ে দর্শকদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন। কতটা উপভোগ করেন?
সম্প্রতি আমি প্রথমবার পাবনায় গিয়েছিলাম। আমি ভাবতাম, ঢাকার দর্শকেরাই আমাকে বেশি চেনেন। কিন্তু পাবনা গিয়ে ভুল ভাঙল। সেখানে এত পরিমাণ ভক্ত, তাদের দেখে আমি চমকে গেছি। জানতামই না ঢাকার বাইরে আমার এত ভক্ত আছেন। কেউ আমাকে দেখে চিৎকার দিয়েছে। অনেক দূর থেকে আমাকে দেখতে এসেছে। আমাকে ছুঁয়ে দেখেছে। এই জন্যই মনে হয় আমার ভালো কাজ করা দরকার।
প্রথম আলো :
প্রথম সিনেমা ‘কাজলরেখা’ নিয়ে কতটা আশাবাদী?
আমার আশা, দর্শক আমাকে পছন্দ করবেন। এখন তো সিনেমার প্রস্তাব পাই। তবে এই সিনেমার পরেই সিদ্ধান্ত নেব সিনেমা করব কি না। দেখা যাক। ভালোবাসা দিবসের কাজ শেষ করলাম, ঈদের কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার তাড়াহুড়া নেই। ধীরে ধীরে হাঁটতে চাই।