হানিমুনে কোথায় গেলেন ফারিণ ও রেজওয়ান

স্বামী রেজওয়ানের সঙ্গে ছবিটি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন ফারিণ
ছবি : রেমিনিসেনস্ ফটোগ্রাফি

অবশেষে ফোনে পাওয়া গেল ফারিণকে। মঙ্গলবার বেলা তিনটায় হোয়াটসঅ্যাপে কথা হলো তাঁর সঙ্গে। কুশলাদি বিনিময় করে শুরুতেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রায় সাড়ে আট বছরের প্রেমের পরিণতি বিয়ে। কেমন লাগছে? ফারিণ বলেন, ‘আমি এত দিন ধরে প্রেম করেছি। অনেক শান্তিতে ছিলাম। এখন বিয়ে হলো আমাদের। আমার চাওয়া, যত দিন বাঁচব, তত দিন যেন এমন শান্তিতেই জীবনটা পার করতে পারি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

ফারিণকে সোমবার পাওয়া যায়নি, ফোনে সাড়া দেননি। মঙ্গলবার যখন কথা হয়, তখন তিনি দেশের বাইরে। জানালেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে হানিমুনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন তিনি এবং তাঁর স্বামী। কোথায় গেলেন হানিমুনে? ফারিণের জবাব, মালদ্বীপে।
মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকে স্পিডবোটে সমুদ্রে প্রায় ৪০ মিনিটের পথ। চারদিকে সমুদ্রঘেরা একটি দ্বীপ। সেই দ্বীপে বসে সমুদ্রের নীল জলে পা ভিজিয়ে গল্প করে, কখনো আবার নীল জলে সাঁতার কেটে একান্ত সময় পার করছেন সদ্য বিবাহিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ও শেখ রেজওয়ান রাফিদ আহমেদ।

বিয়ে নিয়ে কম কানাঘুষা হয়নি। গুজব ছড়িয়ে ছিল বিয়ের। কিন্তু প্রেম ও বিয়ে নিয়ে কখনোই গণমাধ্যমে কিছু বলেননি তিনি। অবশেষে বিয়ে সেরে ফেললেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। মালা বদলের পর প্রিয় মানুষের দিকে তাকিয়ে আছেন ফারিণ।
ছবি : রেমিনিসেনস্ ফটোগ্রাফি

মালদ্বীপ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে ফারিণ বলেন, ‘সুন্দর সময় কাটছে আমাদের দুজনের। জায়গাটি সুন্দর। এখানে সমুদ্রঘেরা অনেকগুলো রিসোর্ট। প্রাইভেট একটি রিসোর্টে আছি আমরা। কী সুন্দর জায়গাটি! মালদ্বীপ আমার পছন্দের জায়গা। বলতে পারেন, বিয়ের পর এ কারণেই এখানে আসা। এর আগেও একবার ভাইকে সঙ্গে করে মালদ্বীপে এসেছিলাম। আর এবারকার আসাটা ভিন্ন। অন্যরকম ভালো লাগা ও আনন্দের।’

প্রেমের দিনগুলো বিনোদনজগতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন ফারিণ। প্রেমিক রাফিদের পক্ষ থেকে কোনো বাধানিষেধ ছিল না। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনো বাধানিষেধ বা কাজের কোনো ছন্দপতন হবে  কি না, জানতে চাইলে ফারিণ বলেন, ‘রাফিদের পক্ষ থেকে তো কোনো সমস্যা নাই। একধরনের ভালোবাসা থেকেই মিডিয়াতে কাজ করি। শ্বশুরবাড়ি থেকে বিষয়টি তাঁরা সবাই জানেন। আমার কাজের ভালোবাসার প্রতি তাঁদের সমর্থন আছে।’

আরও পড়ুন

বেশি দিন মালদ্বীপে থাকবেন না ফারিণ ও রাফিদ। দুজনেরই তাড়াতাড়ি কাজে ফিরতে হবে, জানালেন ফারিণ।

বিয়ের অনুষ্ঠানে একা একা ফ্রেমবন্দী হলেন ফারিণ
ছবি : রেমিনিসেনস্ ফটোগ্রাফি

তিনি বলেন, ‘রাফিদ যুক্তরাজ্য থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করল। সেপ্টেম্বর থেকে চাকরিতে যোগ দেবে সেখানে। তা ছাড়া এর মধ্যে আমারও দুটি ওয়েব ফিল্মের শিডিউল দেওয়া আছে। দুটি কাজের অংশবিশেষের শুটিং অস্ট্রেলিয়াতে হবে। ১৭ বা ১৮ আগস্ট সেখানে যাওয়ার কথা আছে। সুতরাং তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে।’

আরও পড়ুন

১১ আগস্ট রাতে রাজধানীর একটা পাঁচ তারকা হোটেলে পারিবারিকভাবে তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর ১৩ আগস্ট হানিমুনের সময় কাটাতে মালদ্বীপে গিয়েছেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহে দেশে  ফেরার কথা তাঁদের।

ফারিণের এই ছবি দেখে ভক্তরা লিখেছেন, ‘লাল টুকটুকে বউ।’ কেউ লিখেছেন মেকআপ ছাড়াই ফারিণ সুন্দরী
রেমিনিসেনস্ ফটোগ্রাফি
আরও পড়ুন