মেহজাবীনের সঙ্গে বিয়ের পরই ভাগ্য খুলল কান দিয়ে

বিয়ের দিন আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী।অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে

১৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক শেষে মেহজাবীন ও আদনান এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেন। বিয়ের দুই মাসের মাথায় দেড় দশকের পেশাগত জীবনের সবচেয়ে বড় সুখবর পেয়েছেন নির্মাতা ও প্রযোজক স্বামী আদনান আল রাজীব। বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব কান–এর এবারের আসরে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত হয়েছে এই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলী’। বিয়ের পর এমন সাফল্যকে সৌভাগ্য মনে করছেন এই পরিচালক। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে হাসিমুখে তেমনটাই জানান আদনান।

আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী। ফেসবুক থেকে

প্রথম আলোর সঙ্গে ‘আলী’ নিয়ে কথা বলার সময় আদনান বলেন, ‘আমার তো মনে হচ্ছে, বউ আমার জন্য লাকি চার্ম। বিয়ের পরই ভাগ্য খুলে গেছে। প্রথম ভাগ্যটাই খুলল কান দিয়ে। আগামী দিনে ইনশা আল্লাহ আরও বড় কিছুই হবে বলে মনে হচ্ছে।’

আদনান ও মেহজাবীন

ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে বিয়ের স্থিরচিত্র প্রকাশ করে মেহজাবীন লিখেছিলেন, ‘১৩ বছর পর, আমরা এখানে পৌঁছেছি। আমরা একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি, সব সাফল্য একসঙ্গে উদ্‌যাপন করেছি, দুঃসময় পেরিয়ে এসেছি। সাত বছরের বন্ধুত্ব নাকি আজীবন স্থায়ী হয়; আমরা প্রায় দ্বিগুণ সময় পার করেছি। ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের বন্ধন চিরস্থায়ী হয়েছে, শপথ করেছি হাত হাত রেখে চলব। আদনান আল রাজীব, জীবনের সেরা বন্ধু হিসেবে তোমাকে পছন্দ করেছি।’

আগামী ১৩ মে শুরু হবে কান চলচ্চিত্র উৎসব, চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। উৎসবে যোগ দিতে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে আদনানের। ভিসা প্রক্রিয়া শেষে উড়াল দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন আদনান।

আরও পড়ুন
আদনান ও মেহজাবীন

নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র ও চলচ্চিত্র বানিয়ে ১৮ বছর পার করেছেন আদনান আল রাজীব। পরিচালক হিসেবে সবচেয়ে মন ভালো করা খবরটি পান গত শুক্রবার। কান চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনীত হয় তাঁর পরিচালিত সিনেমা ‘আলী’। সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ১৫ মিনিট। অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের তালিকা ঘোষণা করে কান উৎসব কর্তৃপক্ষ। কাছাকাছি সময়ে নির্মাতা রাজীবও ফেসবুকে সুখবরটি জানান। সহকর্মী থেকে শুরু করে বিনোদন অঙ্গনের শুভাকাঙ্ক্ষীরা আদনানের এ খবরে তাঁকে অভিনন্দন জানান।

আরও পড়ুন
আদনান ও মেহজাবীন

কানে তাঁর সিনেমার মনোনয়ন নিয়ে জানতে চাইলে উচ্ছ্বসিত আদনান প্রথম আলোকে বলেন, এবারই প্রথম কান উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের কোনো ছবি জায়গা করে নিয়েছে। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। অদ্ভুত একটা অভিজ্ঞতা। পুরোটাই স্বপ্নের মতো। মনে হচ্ছে, ডুবে যাচ্ছি, আবার ভেসে উঠছি। বোঝানো যাবে না, হার্টবিট (হৃৎস্পন্দন) বেড়ে যাচ্ছে। কান চলচ্চিত্র উৎসব পৃথিবীর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর। জানতে পেরেছি, সাড়ে চার হাজার চলচ্চিত্র থেকে আমাদেরটা নির্বাচিত হয়েছে। এটা আসলে কল্পনাই করা যায় না।’

আরও পড়ুন