বুধবার বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সনদ বিতরণসহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় ‘কুশান পালা’র অংশবিশেষ পরিবেশিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল এবং বিশেষ অতিথি নাট্যজন মলয় ভৌমিক।
দুজন ছেলে ও দুজন মেয়ে অংশগ্রহণকারী তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁরা পারবেন, তাঁদের পারতে হবে। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তাঁরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন। এই মনোবল তাঁরা কর্মশালা থেকে পেয়েছেন।
সালাউদ্দিন লাভলু বলেন, এত দুর্দান্ত আইডিয়া রাজশাহীর তরুণদের কাছ থেকে পাবেন, তিনি ভাবতেই পারেননি। মনে হয়েছে, তাঁরা যেন অনেক দিন ধরেই চলচ্চিত্রের সঙ্গে আছেন, কাজ করেন। এই কর্মশালায় চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রস্তুতির পাশাপাশি তাঁদের ভেতর সামাজিক মূল্যবোধের জায়গা তৈরি হলো। যত্ন নিতে পারলে এদের ভেতর থেকে অনেক বড় নির্মাতা বেরিয়ে আসতে পারে। অনেক বড় কাজ হতে পারে।
মলয় ভৌমিক বেশ কিছু উদাহরণ টেনে বলেন, কাজটা চ্যালেঞ্জিং, তবে করতে পারলে ৫ মিনিটে ৫০০ বছরের কথা বলে দেওয়া যায়। কারণ, এক সেকেন্ডে ২৫টি ছবির ফ্রেম পার হয়ে যায়। কর্মশালাটিকে তাঁর উৎসাহব্যঞ্জক মনে হয়েছে।
প্রধান অতিথি রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, এটি একটি চমৎকার আয়োজন। এ নিয়ে রাজশাহীর ছেলেমেয়েদের মধ্যে তিনি ব্যাপক উৎসাহ ও সৃজনশীলতা লক্ষ করেছেন। পাঁচ মিনিটের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁরা সামাজিক ব্যাধিকে তুলে ধরতে পারবেন। এসব চলচ্চিত্র নিয়ে পরে একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।