‘দর্শক আবার ধারাবাহিক নিয়ে কথা বলছে’

খায়রুল বাসার। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে

দীর্ঘ তিন বছর পর আবার ধারাবাহিক নাটকে ফিরলেন খায়রুল বাসার। নাটকটির নাম এটা আমাদেরই গল্প। শুরুতেই মিলেছে সাড়া। বাসার বলছেন, ‘প্রথম পর্ব প্রচারের পর থেকেই দর্শকদের দারুণ সাড়া পাচ্ছি। ভিউ হচ্ছে কয়েক মিলিয়ন। ধারাবাহিক নাটকে এটা খুব কমই দেখা যায়। পরের পর্ব কবে আসবে, সেটাও মানুষ জানতে চাইছে। এখন দর্শকদের কাছে আমি যেন পরিবারের ছোট ছেলে।’এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকটির সাতটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে।

বাসার বলেন, ‘একসময় পাড়া–মহল্লা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও ধারাবাহিক নাটক নিয়ে আলোচনা হতো। আমি যখন অভিনয় শুরু করি, তখনো ধারাবাহিকের আলাদা গুরুত্ব ছিল।’

খায়রুল বাসার। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই জায়গা কমে গেছে মনে করেন তিনি। বাসারের ভাষায়, ‘এখন মনে হয় ধারাবাহিক নাটকগুলো অনেকটা প্রাণ হারাচ্ছে।’ ভালো গল্প ছাড়া ধারাবাহিকে নাম লেখাতে চাননি তিনি। ‘ধারাবাহিক যদি দর্শক ধরে রাখতে না পারে, তাহলে সেটাকে ভালো সিদ্ধান্ত বলা যায় না।’ সে কারণেই ভালো গল্পের অপেক্ষায় ছিলেন।

ধারাবাহিকে নিয়মিত অভিনয়ে অনীহার আরেকটা কারণও বললেন এই অভিনেতা, ‘এখন একক নাটকই বেশি হচ্ছে। শিডিউল দিয়ে অনেক সময় কুলিয়ে উঠতে পারি না। ধারাবাহিক মানে দীর্ঘ সময় ধরে এনগেজ থাকা। সেখানে খণ্ডনাটকের শুটিং দু-চার দিনের মধ্যেই শেষ।’

খায়রুল বাসার। ছবি: ফেসবুক থেকে

বছরের মাঝামাঝি পরিচালক মোস্তফা কামাল রাজ তাঁকে একটি পারিবারিক গল্পের প্রস্তাব দেন। সেখানে পরিবারের ছোট ছেলের চরিত্র। গল্প শুনেই রাজি হন বাসার। তিনি বলেন, ‘চরিত্রটা আমার খুব ভালো লেগেছে। ছোট ছেলে মানেই একটু আদুরে। আবার তার ভেতরে বাউন্ডুলে স্বভাবও আছে।’ চরিত্রটি জীবনে কিছু করতে চায় না, আবার টাকা ছাড়াই উদ্যোক্তা হতে চায়—এটাই তাকে আলাদা করে বলে জানান বাসার।

আরও পড়ুন
খায়রুল বাসার। ছবি: ফেসবুক থেকে

নিজেও গল্পটি উপভোগ করছেন খায়রুল বাসার, ‘আমি ভুল সিদ্ধান্ত নিইনি। দর্শক বলছে, এটা সত্যিই আমাদের গল্প। আমার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রশংসা পাচ্ছি। সবচেয়ে ভালো লাগছে, দর্শক আবার ধারাবাহিক নাটক নিয়ে কথা বলছে।’

অনুরোধের চাপে এরই মধ্যে বাসারকে আরেকটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করতে হয়েছে। তিনি জানান, পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক টানাপোড়েন আগামী বছর প্রচারের সম্ভাবনা রয়েছে। বিস্তারিত আপাতত জানাতে চান না তিনি। টানাপোড়েন পরিচালনা করেছেন বাপ্পী খান।