নতুন পরিচয়ে চুমকি

নাজনীন হাসান। ছবি: ফেসবুক

দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয়ে অনিয়মিত ছিলেন। ঈদের নাটক ও বিজ্ঞাপন ছাড়া তেমন কোনো কাজে খুব একটা দেখা যায়নি। অবশেষে এর কারণ জানালেন অভিনেত্রী নাজনীন হাসান চুমকি। সম্প্রতি তাঁর নামের সঙ্গে নতুন পরিচয় যুক্ত হয়েছে। তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে এই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন নাজনীন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশের শিশু থিয়েটার চর্চা (১৯৯১-২০১০)’। প্রতিক্রিয়ায় এই অভিনেত্রী জানান, এটা তাঁর জন্য খুবই আনন্দের খবর। এটার জন্য দীর্ঘ একটা পরিভ্রমণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে।

নাজনীন হাসান। ছবি: ফেসবুক

নাজনীন হাসান বলেন, ‘মূলত আমি একজন থিয়েটারকর্মী। থিয়েটার থেকেই আমার জীবনের প্রায় সব শেখা। মা-বাবার কাছ থেকে বনিয়াদি শিক্ষা পেয়েছি। স্কুল থেকে শিখেছি। পরবর্তীকালে থিয়েটারে যাই। সেখান থেকেই আমি হয়ে উঠেছি। আমার জীবনের মূল্যবোধ, উদ্দেশ্য, মানুষের সঙ্গে মেশা, এই যে কথা বলছি, এটাও শিখেছি। কিন্তু এই প্রজন্মের অনেকেই থিয়েটারে সাবলীল নন, কেউ কেউ মিশতে ভয় পান। এসব ক্ষেত্রে থিয়েটার কতটা ভূমিকা পালন করে, কতটা সহায়ক, সেটাই আমি বোঝার চেষ্টা করেছি। এটা নিয়ে আমি ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই।’

নাজনীন হাসান। ছবি: ফেসবুক

দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে অনেকটাই দূরে। নাজনীন জানান, এর কারণ হলো, গবেষণায় সময় দিতে হয়েছে। তিনি জানান, এমফিল থেকে শুরু করে পিএইচডি করতে কেটে গেছে সাত বছরের বেশি সময়। এর মধ্যে করোনা ছিল। তিনি বলেন, ‘গবেষণায় প্রচুর সময় দিতে হয়েছে। এমন নয় যে কাজের প্রস্তাব পাইনি। পেয়েছি, কিন্তু করার সময় পাইনি। কিছু বিজ্ঞাপন ও ঈদের নাটকে কাজ করেছি। এখন ইচ্ছা আছে অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার।’

নাজনীন হাসান। ছবি: ফেসবুক

দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা শেষে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশের শিশু থিয়েটার চর্চা (১৯৯১-২০১০)’ শীর্ষক গবেষণাপত্র জমা দিয়েছেন চুমকি। গতকাল ৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি (ডক্টর অব ফিলোসফি) অর্জন করেন।
নাজনীন হাসান চুমকি একাধারে অভিনেত্রী, পরিচালক ও লেখক। তিনি ১৯৯৭ সালে বিজ্ঞাপন দিয়ে মিডিয়া অঙ্গনে পা রাখেন। ১৯৯৯ সালে তিনি নিয়মিত টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন। পরে নাম লেখান সিনেমায়। ‘ঘানি’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ২০০৬ সালে অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।