সাম্প্রতিক অনেক ভালো কাজের একটা ‘আদিম’

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাওয়া সিরিজ ‘কালপুরুষ’–এ ইমতিয়াজ বর্ষণ–এর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। অন্যদিকে হইচইয়ের নতুন সিরিজ ‘গোলাম মামুন’–এও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর একাধিক নাটক, সিরিজ ও ওয়েব ফিল্ম। এসব নানা প্রসঙ্গে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো।
ইমতিয়াজ বর্ষণ
ছবি : প্রথম আলো

প্রথম আলো :

‘কালপুরুষ’ অনেক অর্থেই নিরীক্ষাধর্মী কাজ। মুক্তির পর আপনি কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?

এটাকে শুধু নিরীক্ষাধর্মী কাজ হিসেবে নয়, আমি বলব, বাংলা কনটেন্টে সময় পরিভ্রমণ নিয়ে অসাধারণ একটি কাজ। কাজটি যে সাধারণ দর্শকও যে এতটা পছন্দ করবেন, এমন প্রত্যাশা ছিল না। যাঁরাই ‘কালপুরুষ’ দেখেছেন, ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন; যা অভিনয়শিল্পী জন্য খুব ভালো লাগার ব্যাপার।

ইমতিয়াজ বর্ষণ
সংগৃহীত

প্রথম আলো :

এর আগেও তো আপনি ওয়েব সিরিজে পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সেখান থেকে ‘কালপুরুষ’–এর চরিত্র কতটা আলাদা?

এটা ঠিক যে আগে সাড়ে ষোলোতে পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। চরিত্রের পেশা এক হলেও বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে দুটো একেবারেই আলাদা। দুটো চরিত্রের জীবনের গল্পও আলাদা। সেদিক থেকে দুটিতে দর্শক দুই ধরনের চরিত্র দেখতে পাবেন বলে আমার বিশ্বাস।

প্রথম আলো :

আপনি তো শুরু থেকেই ইতিবাচক, নেতিবাচক দুই ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করেন। নায়কোচিত নাকি ধূসর, কোন ধরনের চরিত্র বেশি পছন্দ?

আমি অভিনয়শিল্পী হিসেবে নানা স্তরের চরিত্রে কাজ করতে চাই। যদি মাধ্যমের কথা বলা হয়, তাহলে সিনেমার ক্ষেত্রে নায়কোচিত ব্যাপারটাকে প্রাধান্য দেব। ওটিটি হলে বৈচিত্র্যে প্রাধান্য থাকবে। তবে নায়কোচিত ও ধূসর দুই ধরনের চরিত্রের প্রতিই আমার লোভ আছে।

ইমতিয়াজ বর্ষণ
ছবি : প্রথম আলো

প্রথম আলো :

ওটিটিতে আপনার কাজগুলো আলাদাভাবে প্রশংসা পেয়েছে। ওয়েব মাধ্যমে কাজে কি আপনি বেশি স্বচ্ছন্দ?

অভিনেতা হিসেবে যদি বলি, সিনেমায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে এখন ওটিটি যেভাবে এগিয়েছে, সেখানে সিনেমার মতো করেই সময় নিয়ে কাজগুলো করা হচ্ছে। সে কারণে ওটিটিও আমার স্বাচ্ছন্দ্যের একটা জায়গা। তবে দুটোর তুলনায় গেলে অবশ্যই সিনেমা এগিয়ে থাকবে।

প্রথম আলো :

নিজের অভিনীত কাজ ছাড়া ইদানীং দেখা অন্য কোন কাজ বেশি ভালো লেগেছে? কেন?

‘আদিম’ নামে একটা সিনেমা দেখেছি। বছরখানেক আগে মুক্তি পাওয়া ছবিটি এখন চরকিতে আছে। এই সিনেমা দেখে আমি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। কাজটা আমাকে খুব ভাবিয়েছে। পরিচালক যুবরাজ শামীম আনকোরা কিছু মানুষকে দিয়ে এমনভাবে অভিনয় করিয়ে নিয়েছেন, এমন ধরনের গল্প বলেছেন, যা সাধারণ দর্শক হিসেবে আমাকে আকর্ষণ করেছে। আমার মতে, সাম্প্রতিক অনেক ভালো কাজের একটা ‘আদিম’।

প্রথম আলো :

মুক্তির অপেক্ষায় থাকা কোন কাজগুলো নিয়ে আপনি বেশি আশাবাদী?

অনেকগুলো কাজই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ১৩ জুন মুক্তি পাবে শিহাব শাহীন পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘গোলাম মামুন’। আশা করছি ঈদে সবাই এ সিরিজ নিয়ে মেতে থাকবেন। ‘যাপিত জীবন’ নামে একটা সিনেমার কাজও শেষ করেছি, পরিচালক হাবিবুল ইসলাম। সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই সিনেমায় আমার সহশিল্পী আশনা হাবিব ভাবনা। এটা নিয়েও ভীষণ আশাবাদী। হাসান আজিজুল হকের স্মৃতিকথা থেকে পাণ্ডুলিপি করা ‘একাত্তর করতলে ছিন্নমাথা’ নামে একটা সিনেমার শুটিং করছি। এই ছবির পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল। এটাও আমার ভালো লাগার গল্প। এর বাইরেও কিছু কাজ করেছি, সব কটি শেষের দিকে।