প্রথমবার বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন। কেমন লাগছে?
শাশ্বত দত্ত: চক্কর ৩০২ আমার প্রথম সিনেমা হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে। এটা আমার জন্য ভীষণ আনন্দের ও রোমাঞ্চকর। দর্শক হিসেবে আমি যে ধরনের সিনেমা দেখতে পছন্দ করি, সেই ধরনের সিনেমায় আমার অভিষেক ঘটছে। এটা সৌভাগ্যের। তবে আমার প্রথম অভিনীত সিনেমা ইসমাইলের মা। ছবিটি পরিচালনা করেছেন রতন পাল। প্রযোজনা করেছে বেঙ্গল ক্রিয়েশনস। ছবিটি এখনো মুক্তি পায়নি।
প্রথম সিনেমায় মোশাররফ করিমের মতো অভিনেতাকে সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
শাশ্বত দত্ত: আমি মোশাররফ করিম ভাইয়ের অনেক বড় ভক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে তাঁর ছবি আমার ফেসবুকে কভারে দিয়ে রাখতাম। প্রথম যখন জীবন ভাইয়ের (পরিচালক শরাফ আহমেদ) টিম থেকে কল দিয়ে গল্পটা বলা হয়েছিল, পরে শুনলাম, মোশাররফ করিম ভাই আছেন। এরপর আমাকে আর দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি। ১৮ দিন শুটিং করেছিলাম। আমার মনে হয়েছে, মোশাররফ ভাই কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (অভিনয়) অধ্যাপক। আমি অনবরত ওনার কাছ থেকে শিখে গেছি। প্রথম দিকে ভুলে গিয়ে ওনার অভিনয় দেখতাম। ধীরে ধীরে উনি আমার ভয় কাটিয়ে দিয়েছেন।
সিনেমায় নিয়মিত হবেন? কোন ধরনের সিনেমা করার ক্ষেত্রে আপনার আগ্রহ বেশি?
শাশ্বত দত্ত: আমি নাটক, সিনেমা ও ওটিটি—সব মাধ্যমেই ভালো গল্প এবং পরিচালকের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করতে চাই। তবে শুধু সিনেমায় নিয়মিত হওয়ার দুঃসাহস এখনো হয়নি। আমি থ্রিলার জনরাতে কাজ করতে চাই। এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দের জায়গা।
সিনেমার বাইরে আপনি কয়েকটি ঈদের নাটকও করছেন।
শাশ্বত দত্ত: সিনেমার বাইরে আমি বেশ কয়েকটি নাটকে কাজ করেছি। সেগুলোর বেশির ভাগই সোশ্যাল রোমান্টিক ও ফ্যামিলি ড্রামা।
ঈদের নাটকের মধ্যে দুটিতে আপনার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তানিয়া বৃষ্টি। তাঁর সঙ্গে আপনার রসায়ন কেমন?
শাশ্বত দত্ত: তানিয়া বৃষ্টি অনেক অভিজ্ঞ ও গুণী অভিনেত্রী। ওর সঙ্গে কাজ করা যথেষ্ট স্বচ্ছন্দের ও আরামদায়ক।
ক্যারিয়ার নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
শাশ্বত দত্ত: ভালো গল্প, ভালো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে, সেটা যে মাধ্যমেই হোক না কেন। সব সময় চেষ্টা করে যাব আমার কাজে যেন দর্শক আশাহত না হয়।