জেদ্দা শহরে বেড়ে ওঠা সেই মেয়ে এখন ঢালিউড নায়িকা

উপস্থাপনা দিয়ে বিনোদন অঙ্গনে কাজের শুরুটা হয় মাসুমা রহমান নাবিলার। এরপর নাটকেও অভিনয় করেন। একটা সময় তাঁকে চলচ্চিত্রের পর্দায়ও দেখা যায়। প্রথম চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’ দিয়ে বাজিমাতও করেন। ২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর বছর দুয়েক আগে মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত আরেকটি চলচ্চিত্র। আজ এই তারকার জন্মদিন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের কিছু কথা
১ / ৮
দাদার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় হলেও নাবিলার বেড়ে ওঠা সৌদি আরবে। জন্মও সেখানেই। বাবার চাকরি সূত্রে কৈশোরের সবচেয়ে আনন্দময় দিনগুলো কেটেছে জেদ্দা শহরে
ছবি : ফেসবুক
২ / ৮
এসএসসি পাসের পর ২০০০ সালে স্থায়ীভাবে ঢাকায় চলে আসেন। ভর্তি হন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে। এরপর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন নাবিলা। এখানে এসে কিছু নতুন বন্ধুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়
ছবি : ফেসবুক
৩ / ৮
জেদ্দা থেকে ঢাকায় এসে ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তির পর কিছু নতুন বন্ধুর সঙ্গে নাবিলার পরিচয় হয়। তাঁদের উৎসাহে একটা সময় উপস্থাপনা করার প্রতি আগ্রহ জন্মে। বাংলাভিশনের ‘এবং ক্লাসের বাইরে’ অনুষ্ঠান দিয়ে যাত্রা শুরু। নাবিলার উপস্থাপনায় প্রথম টিভি অনুষ্ঠানটি প্রচার হয় ২০০৫ সালের ৮ এপ্রিল, তাঁর জন্মদিনে। তাই বাড়তি আনন্দ ছিল। তবে উপস্থাপনা নিয়ে তাঁর চেয়ে তাঁর পরিবারের সবার উচ্ছ্বাসটা ছিল অনেক বেশি
ছবি : ফেসবুক
৪ / ৮
স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে নির্মিত অনুষ্ঠান উপস্থাপনা শুরু করে সময়ের পরিক্রমায় টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের স্টেজ শো আর বিপিএলের মতো অনেক বড় আসরের ইভেন্ট উপস্থাপনা করে নিজেকে প্রমাণ করেছেন নাবিলা
ছবি : ফেসবুক
৫ / ৮
উপস্থাপনায় জনপ্রিয়তা পাওয়া নাবিলা একটা সময় বিজ্ঞাপনচিত্রেরও মডেল হন। নাবিলাও তাঁর এ পরিচিতি বেশ উপভোগ করেন
ছবি : ফেসবুক
৬ / ৮
২০১৪ সালে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে নাবিলা বলেছিলেন, ‘সিনেমায় কাজ করতে চাই। সেটা প্রধান চরিত্রে হতে হবে, তেমন নয়। আমি এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে চাই, যেটি প্রধান চরিত্র না হলেও সিনেমায় চরিত্রটির গুরুত্ব থাকবে। এটাও ঠিক যে সিনেমায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছা নেই।’ এমন কথা বলার দুই বছরের মাথায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় নাবিলা অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’। অমিতাভ রেজা পরিচালিত এ ছবিতে তাঁর সহশিল্পী ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী
ছবি : ফেসবুক
৭ / ৮
‘আয়নাবাজি’ মুক্তির দুই বছরের মাথায় ২০১৮ সালের এপ্রিলে বিয়ে করেন নাবিলা। ব্যাংকার জোবাইদুল হকের সঙ্গে জেদ্দা থাকতেই পরিচয় ছিল বলে জানান তিনি। বিয়ের পর বলেছিলেন, ‘আমরা যখন জেদ্দায় থাকতাম, পরিবার নিয়ে ওরা সেখানে থাকত। আমরা একই স্কুলে পড়তাম। তখন থেকে তাঁর প্রতি ভালো লাগা কাজ করেছে। ও আমার জীবনের প্রথম প্রেম। ১৮ বছর আগে যাঁকে ভালো লেগেছিল, কল্পনাও করিনি, তাঁকেই বিয়ে করব।’
ছবি : ফেসবুক
৮ / ৮
২০২১ সালের জুলাইয়ে কন্যাসন্তানের মা হন নাবিলা। সন্তানের নাম রাখা হয়েছে মালহার মাসুমা হক, ডাক নাম স্মিহা
ছবি : ফেসবুক