এবার দীর্ঘ একটা সময় পরে দেখা হলো তাঁদের। দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একে–অন্যকে জড়িয়ে ধরেন। দুজনই বলতে থাকেন, ‘কত দিন দেখা হয় না।’ এবার আপনাদের মধ্যে কী কথা হলো? জানতে চাইলে চঞ্চল বলেন, ‘দেখা হতেই দুজনই ভাই আমার বলে জড়িয়ে ধরলাম। কুশল বিনিময় হলো। আমাদের কাছে পুরোনো নম্বর ছিল। দুজন নতুন নম্বর বিনিময় করলাম। প্রথম থেকে যে মাশরাফিকে দেখেছি সেই মাশরাফি এখনো আগের মতোই অমায়িক। এত বড় একজন খেলোয়াড়। তাঁর অনেক স্যাক্রিফাইস রয়েছে। যে কারণেই হয়তো বাংলাদেশের খেলাকে অন্য একটি উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। আবার তিনি দেশের জনপ্রতিনিধি। অথচ তাঁর সঙ্গে কথা বললে মনে হয়, পাশের বাড়ির ছেলেটা। যার মধ্যে কোনো অহংকার নেই। সদা চঞ্চল প্রকৃতির।’

এ সময় চঞ্চল চৌধুরী আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রায়ই জানতে পারি, মাশরাফি ডেকে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, এলাকার উন্নয়নে কাজ করেন। পেশায় মুচি, চা দোকানদার হলেও সেই বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে রাস্তার পাশেই বসে পড়েন। এলাকার মানুষ তাঁকে ভালোবাসেন। এর কারণ তিনি অনেক বড় মনের মানুষ। তাঁর এই যে মিশুক স্বভাব, সাধারণভাবে কথা বলা, ক্রিকেটে অবদান, দেশের মানুষের জন্য ভালোবাসা—এসবই বারবার আমাকে মুগ্ধ করে। নিরহংকার অমায়িক একজন মানুষ মাশরাফি।’

গণমাধ্যমে প্রায়ই জানতে পারি, মাশরাফি ডেকে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, এলাকার উন্নয়নে কাজ করেন। পেশায় মুচি, চা দোকানদার হলেও সেই বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে রাস্তার পাশেই বসে পড়েন। এলাকার মানুষ তাঁকে ভালোবাসেন। এর কারণ তিনি অনেক বড় মনের মানুষ।
চঞ্চল চৌধুরী

মাশরাফি কি তাহলে চঞ্চলের খবর রাখেন না? রাখেন বটে। ‘ভবের হাট’, ‘হাড় কিপটে’, ‘সাকিন সারিসুরি’, ‘তিন গ্যাদা’, ‘পাত্রী চাই’, ‘ঠোলের বাদ্য’, ‘গরু চোর’, ‘সার্ভিস হোল্ডার’সহ সিনেমা ‘মনপুরা’, ‘আয়নাবাজি’, ‘দেবী’, হালের ‘হাওয়া’ নিয়ে খোঁজখবর ভালোই রাখেন মাশরাফি। এমনকি ওটিটির ‘তাকদির’, ‘কারাগার’ সম্পর্কেও জানেন মাশরাফি। বিভিন্ন সময় আড্ডায় তাহলে মাশরাফি তাঁর কাজ নিয়ে কী বলেন?

‘এমন অনেকবার হয়েছে, দেখা হলেই মাশরাফি আগে আমার নাটকের সংলাপ বলেছে। যতবারই দেখা হোক, সে নাটকের সংলাপ বলবেই। আমার আগের গ্রামের যে নাটকগুলো খুবই জনপ্রিয়, সেগুলোর দারুণ ভক্ত মাশরাফি।
চঞ্চল চৌধুরী

এ প্রশ্নে চঞ্চল বলেন, ‘এমন অনেকবার হয়েছে, দেখা হলেই মাশরাফি আগে আমার নাটকের সংলাপ বলেছে। যতবারই দেখা হোক, সে নাটকের সংলাপ বলবেই। আমার আগের গ্রামের যে নাটকগুলো খুবই জনপ্রিয়, সেগুলোর দারুণ ভক্ত মাশরাফি। আমাদের লাভলু ভাই, বৃন্দাবন দাস, শাহনাজ খুশি—এই জুটির অনেক নাটক, অন্য কাজগুলোও মাশরাফির দেখা। তার বাড়ি যশোর অঞ্চল হওয়ায় সে আমাদের আঞ্চলিক ভাষা ভালোভাবে বুঝতে ও বলতে পারে। আমাদের কাজগুলো তাকে বিনোদন দেয় এটাও শুনে ভালো লাগে।’ সর্বশেষ দেখা হলে ছবি তুলে রাখলেন চঞ্চল। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে চঞ্চল লিখেছেন, ‘এই তো সেদিন এয়ারপোর্টে হঠাৎ দেখা। “ভাই আমার” বলে জড়িয়ে ধরা। অনেক বেশি আপন করে নেয় এই মানুষটা। এই তো আমাদের ক্যাপটেন ম্যাশ।’