মিথিলাকে জয়ী দেখতে ভোট চাইলেন জয়া

তানজিয়া জামান মিথিলাছবি: মিথিলার ইনস্টাগ্রাম থেকে

সেপ্টেম্বরে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫-এর মুকুট জিতে নেন তানজিয়া জামান মিথিলা। পেয়ে যান মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসরে অংশগ্রহণের টিকিট। অক্টোবরের শেষ দিকে ‘মিস ইউনিভার্স’–এর এই আসরে অংশ নিতে মিথিলা উড়াল দিয়েছেন থাইল্যান্ডে। ১২১টি দেশের প্রতিযোগীরা লড়ছেন শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। চলছে ভোট প্রদান কার্যক্রমও।

জানা গেছে, মিথিলা এরই মধ্যে ৭০ হাজারের কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন, যা তাঁকে রীতিমতো অবাক করেছে। এদিকে মিথিলাকে জয়ী দেখতে বাংলাদেশ থেকে অভিনয়শিল্পী ও মডেলরা ভোট চাইছেন। এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান।

জয়া আহসান।
ছবি : জয়ার ফেসবুক থেকে

মিথিলাকে ভোট প্রদান করার আহ্বান জানিয়ে জয়া তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমরা অনেকেই ফোনে স্ক্রল করে সময় ব্যয় করি। এর কিছুটা সময় ব্যয় করে বাংলাদেশকে সাপোর্ট করতে তানজিয়া জামান মিথিলাকে ভোট দিন। আপনার প্রতিটি ভোট বাংলাদেশ এবং মিথিলার জন্য মূল্যবান। আপনি ভোট দিন এবং সবাইকে বিনা মূল্যে ভোট দিতে উৎসাহিত করুন। মিস ইউনিভার্স অ্যাপে বাংলাদেশ নির্বাচিত করুন এবং গেট ভোট নির্বাচন করুন—একটি বিজ্ঞাপনের ভিডিও দেখুন এবং বিনা মূল্যে ভোট সংগ্রহ করুন এবং তারপর বাংলাদেশকে ভোট দিন। আপনি এটি বারবার করতে পারেন।’

আরও পড়ুন
তানজিয়া জামান মিথিলা
ছবি: মিথিলার ইনস্টাগ্রাম থেকে

জয়া আহসান ছাড়াও রুনা খান, সামিরা খান মাহি, শবনম ফারিয়া প্রমুখ মিথিলার জন্য ভোট চেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কথা হয় মিথিলার সঙ্গে। জানান, খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন, তবে দেশের তারকাদের অনেকে যে তাঁর জন্য ভোট চাইছেন, এতে তিনি বেশ অনুপ্রাণিত বোধ করছেন। তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

মিথিলা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার এই সময়টাতে ভোট অনেক বেশি প্রয়োজন। ২০ কোটির মানুষের দেশ, আমার বাংলাদেশ। যতদূর শুনেছি চার থেকে পাঁচ লাখ ভোট পেলেই আমি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব। আমার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশও কিন্তু এগিয়ে যাবে। তাই আমার এগিয়ে যাওয়ার জন্য সচেতন বাংলাদেশি সবার কাছ থেকে বেশি বেশি ভোট দরকার।’

আরও পড়ুন
জয়া আহসান
ছবি : জয়ার ফেসবুক থেকে

মিথিলা শুধু একজন মডেল বা অভিনেত্রী নন, তিনি বাল্যবিবাহবিরোধী প্রচারণা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে কাজের জন্যও পরিচিত। ২০২০ সালে তিনি জাতীয় পর্যায়ে এই খেতাব জিতেছিলেন, তবে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। ২০২৫ সালে আবার মুকুট জিতলেন তিনি।

মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের পরিচালক মুস্তাফা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মিস ইউনিভার্স কেবল একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়, এটি বুদ্ধিমত্তা, আত্মবিশ্বাস এবং উদ্দেশ্য উদ্‌যাপনের একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম। আমরা গর্বিত যে বাংলাদেশকে এই আসরে তুলে ধরতে পারছি। এটি শুধু তরুণীদের অনুপ্রাণিত করে না, বরং বিশ্বমঞ্চে তাঁদের প্রতিভা ও মনোবল প্রদর্শনের নতুন দ্বার উন্মোচন করে।’

এর আগে ২০১৯ সালে শিরিন শিলা এবং ২০২৪ সালে আনিকা আলম মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ হয়েছিলেন।