যাওয়া-আসার মধ্যে থাকব

বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন পারসা ইভানা। নিয়মিত কাজ করছেন ধারাবাহিকে। দারুণ সব কাজের স্বপ্ন নিয়ে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন তিনি। সেসব জানালেন প্রথম আলোকে।

প্রশ্ন :

শুভেচ্ছা, অভিনন্দন।

অনেক ধন্যবাদ।

প্রশ্ন :

‘ব্যাড বাজ’, ‘গুড বাজ’, ‘ব্যাচেলরস কোরবানি’সহ সম্প্রতি আপনার বেশ কয়েকটি নাটক প্রচারিত হয়েছে। কোনটির জন্য বেশি প্রশংসা পেয়েছেন?

ব্যাড বাজ, গুড বাজ, ব্যাচেলরস কোরবানি নাটকগুলোতে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছি সবচেয়ে বেশি। ভারতের বাঙালিরাও দেখলাম ইউটিউবে প্রশংসা করে মন্তব্য করেছেন। আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি।

প্রশ্ন :

এসব নাটকে আপনাকে পলাশের জুটি হিসেবে দেখা গেছে। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এও তা–ই। তবে কি পলাশের সঙ্গেই আপনার রসায়নটা ভালো?

এটা নির্ভর করে পরিচালকদের ওপর। তাঁরা যখন যার সঙ্গে ভালো মনে করেন, আমাকে সেই শিল্পীর জুটি হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে দেন। বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয়ের পর অনেকে বলেছিলেন, মুশফিক ফারহানের সঙ্গেও আমার রসায়নটা ভালো।

পারসা ইভানা

প্রশ্ন :

এর মধ্যে নতুন কাজ কী করলেন?

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ তো চলছেই। এর বাইরে পিএস জামাই নামে একটি নাটকের কাজ করেছি। এই নাটকে সহশিল্পী ছিলেন নিলয় আলমগীর। কাজটা করে বেশ ভালো লেগেছে।

প্রশ্ন :

আপনি কার সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?

সবার সঙ্গে। বিশেষ করে চঞ্চল ভাইয়ার সঙ্গে যখন লাইলী মজনুতে অভিনয় করলাম, ভীষণ ভালো লেগেছিল। অনেক কিছু শিখেছিলামও। আমি আসলে অভিনয়টা করতে খুব ভালোবাসি, সেটা যার সঙ্গেই হোক।

প্রশ্ন :

সিনেমায় কাজ করতে ইচ্ছা করে?

অবশ্যই। যেকোনো অভিনয়শিল্পীরই সিনেমায় কাজ করার স্বপ্ন থাকে। তবে আমি এমন কোনো সিনেমায় কাজ করতে চাই, যেখানে আমি অভিনয় করার সুযোগ পাব। থাকতে হবে বলে থাকা, এমন সিনেমায় আমি কাজ করতে চাই না।

প্রশ্ন :

আপনি শাস্ত্রীয় নৃত্যের শিল্পী। অভিনয়ে কীভাবে এলেন?

হঠাৎ করেই আসা। ২০১৫ সাল থেকে টুকটাক কাজ করতাম। ২০১৮ থেকে একেবারে নিয়মিত। এমনকি ব্যাচেলর পয়েন্ট–এ ডাক পেয়েছি নাচের শিল্পী হওয়ার কারণেই। তাদের এমন একজনকে দরকার ছিল, যে শাস্ত্রীয় নৃত্য জানে।

পারসা ইভানা

প্রশ্ন :

নাটকটি কি আপনি দেখতেন আগে?

হ্যাঁ, বাসার সবাই মিলে দেখতাম। বাসার কেউ কেউ তো বলেছিল, ইশ্, তুমি যদি এই নাটকে কাজ করতে। একদিন সুযোগ পেয়ে গেলাম। বাবা আমার অভিনয় করাটা পছন্দ করতেন না। ব্যাচেলর পয়েন্ট–এ যোগ দেওয়ার পর তিনি খুশি। কারণ, তিনি নিজেও এই নাটকের ভক্ত।

প্রশ্ন :

দর্শকের প্রতিক্রিয়া কেমন উপভোগ করেন?

ভীষণ। এখন তো ব্যাপারটা আরও সহজ হয়ে গেছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে কমেন্ট করে সবাই প্রশংসা করেন। ভীষণ ভালো লাগে। আর ইউটিউবে কমেন্ট দেখলে ভীষণ অনুপ্রাণিত হই।

প্রশ্ন :

লেখাপড়ার খবর কী?

মা–বাবা দুজনই বাইরে থাকেন। আমার ইচ্ছা আছে বাইরে পড়াশোনা করতে যাওয়ার।

প্রশ্ন :

অভিনয় ছেড়ে দেবেন?

অভিনয় ছেড়ে যাওয়ার তো ইচ্ছা নেই। যাওয়া–আসার মধ্যে থাকব। আমার তো এ–লেভেল কমপ্লিট হয়েছে। পড়ার ইচ্ছা আছে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজে, এখন দেখি সুযোগটা কিসে হয়।