বান্দরবানের নীলাচলে ধারণকৃত ‘ইত্যাদি’র পর্বে শেষবারের মতো অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত অভিনয়শিল্পী এ টি এম শামসুজ্জামান। একটি নাট্যাংশে অভিনয়ের পর অসুস্থতা নিয়ে বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ অভিনয়শিল্পী। এরপর আর কোনো কাজ করেননি তিনি। সেই পর্ব আজ শুক্রবার রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর পুনঃপ্রচার হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন ‘ইত্যাদি’র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এ পর্বে থাকছে বান্দরবানের ইতিহাস–ঐতিহ্যের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দর্শনীয় ও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থানগুলোর ওপর তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। এ ছাড়া রয়েছে পার্বত্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর চঞ্চল কান্তি চাকমার ব্যক্তি উদ্যোগে বয়স্ক ভাতা চালুর ওপর একটি প্রতিবেদন। বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার বীরেন্দ্রনাথের মাতৃভক্তির ওপর একটি মানবিক প্রতিবেদন। পৃথিবীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রসৈকতের পরিবেশের ওপর রয়েছে একটি সচেতনতামূলক প্রতিবেদন।
এবারের বিদেশি প্রতিবেদনে রয়েছে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পাথরনগরী বলে খ্যাত মামাল্লাপুরামের কিছু স্মৃতিস্তম্ভের ওপর সচিত্র প্রতিবেদন।
এবারের ‘ইত্যাদি’তে বাংলা ও মারমা গানের দুই শিল্পী আঁখি আলমগীর ও মান মান সিংয়ের কণ্ঠে রয়েছে একটি অনুরাগের গান। গানটি লিখেছেন গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি। এ ছাড়া বান্দরবানের সবুজ-শ্যামল রূপবৈচিত্র্য নিয়ে আরেকটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন বান্দরবানের ১১ জাতিগোষ্ঠী ও বাঙালি শিল্পীদের সমন্বয়ে শতাধিক নৃত্যশিল্পী।
অনুষ্ঠানে মামা-ভাগ্নে, নানি-নাতি, চিঠিপত্র, দর্শকপর্বসহ বিভিন্ন সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রূপাত্মক নাট্যাংশ। ‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত।