আগে থেকেই বলে রাখেন গভীর রাত পর্যন্ত শুটিং চলবে
ঈদ সামনে রেখে বদলে গেছে বিনোদন অঙ্গন। এ সপ্তাহে নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। কনসার্ট বা গানের আসরও কমে গেছে। সংগীতশিল্পীরা এখন স্টুডিওমুখী। ঈদ সামনে রেখে নতুন নতুন গান করছেন। তবে ব্যতিক্রম ছোট পর্দার দুনিয়া। ঈদ সামনে রেখে রোজার শুরুতেই দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে নাটকের শুটিং। বলদে যাওয়া নাটকের অঙ্গন কেমন?
রমজান উপলক্ষে শুটিংয়ের নিয়ম কিছুটা বদলে যায়। সেভাবেই পরিকল্পনা করেন নির্মাতারা। কেউ সকাল ১০টা, কেউ দুপুর ১২টায় শুটিংয়ের সময় নির্ধারণ করেন। কেউ শুটিং শেষ করতে আগে থেকেই বলে রাখেন, গভীর রাত পর্যন্ত শুটিং চলবে। সেভাবেই সব ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়া শুটিংয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘শুটিংয়ের শিডিউল কখনো এক–দুই ঘণ্টা এদিক-ওদিক হয়। এর মাঝে নামাজের সুযোগ থাকে।
ইফতারের সময় বিরতি থাকে। আবার ঢাকার বাইরে গেলে যেসব কলাকুশলী রোজা রাখেন, তাঁদের জন্য সাহ্রির ব্যবস্থা থাকে। সবকিছু মিলিয়ে রোজার শুটিং মানে উৎসবমুখর পরিবেশ।’
ঈদের সাত পর্বের একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং সেট থেকে পরিচালক সকাল আহমেদ বলেন, ‘আমি সব সময় রোজার মধ্যে ইফতারের আধা ঘণ্টা আগে শুটিংয়ে বিরতি দিই।
আবার ৪০ মিনিট পর শুটিং শুরু করি। চাপ নিয়ে শুটিং না করার চেষ্টা করি। তবে ঈদের কাজগুলোকে আলাদা গুরত্ব দিয়ে থাকি। এই সময়ের নাটকগুলো নিয়ে দর্শকদের বাড়তি আগ্রহ থাকে।’
অন্যদিকে রোজা শুরু হলেই সময়মতো শুটিং করতে চান তারকারা। কারণ, অনেকে সময়মতো বাসায় ফিরতে চান। সে জন্য অনেকটাই পরিকল্পনামতো শুটিং হয়।
অভিনেতা আবদুন নূর সজল বলেন, ‘রোজা ছাড়া অন্য সময় সন্ধ্যার আগে দম ফেলার সময় পাই না। কিন্তু রোজার মাসে ইফতারের আধা ঘণ্টা আগে শুটিং বন্ধ করি। লাইটম্যান, ক্যামেরাম্যানসহ সবাই একসঙ্গে ইফতার করাটা অনেক আনন্দের। শুটিংয়ের পরিবেশই বলে দেয় সামনে ঈদ আসছে। সেই আমেজটা পুরো শুটিংয়ে থাকে।’