মুখোশের আড়ালে কী
সাদাকালো মুখোশে ঢাকা মুখ। শহরের সবখানে মুখোশ মুখে মানুষের আনাগোনা। অফিস, বন্ধু পরিচিতজন, সহকর্মী সবার মুখেই মুখোশ। কেন শুধু দুজন চারপাশের মানুষের মুখে মুখোশ দেখছেন। এসব মুখোশের আড়ালে কী আছে? কেন সবাই মুখোশ পরে ঘুরছেন। সেটাই জানা যাবে আজ সন্ধ্যা সাতটায়। এই ‘মুখোশ’ ঈদনাটকের নাম। এটিএন বাংলায় আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত হবে।
কমেডি রোমান্টিক নাটকের ভিড়ে সমাজবাস্তবতার গল্প নিয়ে নাটকের সংখ্যা কম। সেখানে ব্যতিক্রম এই ‘মুখোশ’–এর গল্প।
নাটকের অভিনেতা মুশফিক ফারহান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘বর্তমান স্বার্থান্বেষী সমাজের মানুষ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি চরিত্র। যে ভালোকে ভালো, মন্দকে মন্দ হিসেবে জানে। তার মধ্যে অসততার জায়গা নেই। নৈতিকতার জায়গায় দৃঢ় থাকার কারণে তাকে শুনতে হয় পাগল, সাধু, ভন্ডসহ নানা কিছু। সব সত্ত্বেও সে স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যায়। নানা ঘটনার মধ্যে এগিয়ে যায় গল্প। আশা করছি দর্শক ভিন্ন একটা কনটেন্ট পাবে।’
গল্প নির্মাণ প্রসঙ্গে নাটকের পরিচালক রাফাত মজুমদার বলেন, ‘আমি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে “মুখোশ” নাটকটির গল্প বলার চেষ্টা করেছি। “মানুষ মানুষের জন্য” কথাটা যেন আমরা অনেকটাই ভুলতে বসেছি। নিষ্ঠা, সততা, সময়ানুবর্তিতা, সমাজ ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা ভুলে গিয়ে নিজের স্বার্থের জন্য অন্যায় দুর্নীতিকে একপ্রকার সার্টিফাই করে নিজের স্বার্থ নিয়েই সমাজের অনেকেই ভাবছে। অনেক ক্ষেত্রে নীতি বিসর্জন দেওয়া একেবারে ঠুনকো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভালো মানুষের মুখোশ পরে, বুক ফুলিয়ে চলা ব্যক্তিরাই সমাজে বাহবা পাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে অনৈতিকতাকে একপ্রকার উৎসাহিত করা হয়। বিষয়গুলো সমাজের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাই দর্শকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চেয়েছি গল্পে।’
নাটকে ফারহানের সহ–অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশা। আরও বিশেষ একটি চরিত্রে রয়েছেন শহীদুল আলম সাচ্চু। নাটকটিতে ‘মুখটাই মুখোশ’ শিরোনামে একটি গান রয়েছে। গানটি লিখেছেন সোমেশ্বর অলি। নাহিদ হাসানের সুর ও আমজাদ হোসেনের সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তানজীর তুহিন। এবারই তিনি প্রথমবার নাটকের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।