সিডনিতে যেভাবে মেয়েকে চমকে দিলেন শিহাব শাহীন

শিহাব শাহীনফেসবুক থেকে

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সিনেমার মতোই মেয়েকে চমকে দিলেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’–নির্মাতা শিহাব শাহীন এখন সিডনিতে।। নাটক-সিনেমা নিয়ে মেতে থাকেন যে মানুষটি, ব্যক্তিজীবনেও নাটকীয়তার কমতি রাখেন না যেন। তাঁর একমাত্র মেয়ে শাদিদ শিহাব সফেন থাকেন সিডনিতে। ‘আসি আসি’ করেও কর্মব্যস্ততায় দীর্ঘ চার বছর দেখা হয় না মেয়ের সঙ্গে। আর এবার যখন এলেন, নাটক-সিনেমা দিয়ে দর্শককে চমকে দেওয়ার মতোই আচমকা এসে চমকে দিলেন মেয়েকে।
ঈদের নাটক নির্মাণের তাগিদে ৪ জুন সিডনিতে পৌঁছান শিহাব শাহীন। নাটকের শুটিং নিয়ে কথার প্রসঙ্গে এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, মেয়েকে চমকে দেওয়ার ঘটনা। তাঁর মেয়ে শাদিদ শিহাব সফেনকে ঘুণাক্ষরেও জানতে দেননি যে তিনি সিডনিতে আসছেন। বাংলাদেশ থেকে রওনা দেওয়ার আগে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বাভাবিকভাবেই। কথার ছলে জেনে নিয়েছেন, মেয়ে কখন বাসায় থাকেন।

এরপর শিহাব শাহীন একটা নাটক রচনা করেন বন্ধু আতিকুর রহমানকে নিয়ে, যিনি সিডনিবাসী এবং সফেনের স্থানীয় অভিভাবক। সিডনিতে পৌঁছে বন্ধুর সঙ্গে যান মেয়ের বাড়ির সামনে। সেখানে তাঁর বন্ধু সফেনকে ফোন করে বলেন, ‘বাইরে আসো, তোমার আব্বু কিছু জিনিস পাঠিয়েছে, নিয়ে যাও।’

মেয়ে মেয়ে শাদিদ শিহাব সফেনের সেলফিতে শিহাব শাহীন
ফেসবুক

প্রথমে স্বাভাবিকভাবেই সফেন বাইরে এলেও এত বছর পর বাবাকে দেখে থমকে যান, যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না তাঁর নিজের চোখকে। এরপর দৌড়ে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরেন, চোখ ভিজে ওঠে বাবা-মেয়ের।

শিহাব শাহীন বলেন, ‘এভাবেই আমার চার বছর পর মেয়ের সঙ্গে দেখাটা। আমি তো নাটক-ফিল্মের মানুষ, আমার এ রকমই পছন্দ। আমি জানিয়ে আসতে পারতাম, কিন্তু এখন একটা অন্য রকম স্মৃতি তৈরি করতে পেরেছি।’

শিহাব শাহীন
ফেসবুক

এর আগে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিহাব শাহীন বলেছিলেন, ‘এ শহর (সিডনি) আমার কাছে আলাদা। কারণ, এখানে আমার মেয়ে থাকে।’

ঈদ সামনে রেখে অপূর্ব ও সাবিলা জুটিকে নিয়ে নাটক ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’-এর শুটিং করছেন শিহাব শাহীন। তবে শুটিংয়ের ফাঁকে অভিনয়শিল্পীরা ও পরিচালক সবাই ঘুড়ে দেখছেন সিডনি।

শিহাব শাহীন
ফেসবুক

মেয়ের সঙ্গে যতটুকু পারছেন, সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান শিহাব শাহীন। তাঁর মেয়ে শাদিদ শিহাব সফেন দেশটির শীর্ষ বিদ্যাপীঠ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্ব নিয়ে অধ্যায়ন করছেন। পাশাপাশি অর্ধসপ্তাহই কর্মব্যস্ত থাকেন। আর এদিকে শুটিং নিয়ে ব্যস্ত বাবা শিহাব শাহীন। ১৯ জুন বাংলাদেশে ফেরার কথা তাঁর।